১৮ মে ২০২৪, শনিবার



মৌখিক পরীক্ষার ৬ মাস পরও কেন নিয়োগ পাননি ৩ প্রার্থী

তানভীর আহমেদ, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) || ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
মৌখিক পরীক্ষার ৬ মাস পরও কেন নিয়োগ পাননি ৩ প্রার্থী


সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের  ৪ আগস্ট নিরাপত্তাকর্মী, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিরাপত্তাকর্মী পদে মো. সজিব মিয়া, নৈশপ্রহরী পদে মো. শরিফুল ইসলাম এবং আয়া পদে সারুল আক্তার প্রথম হয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষার পর ৬ মাস পার হয়ে গেলেও এখনপর্যন্ত তারা নিয়োগ পাননি। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

নৈশ প্রহরী পদে প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও আমি নিয়োগ পাচ্ছি না। এ অবস্থায়  হতাশার মধ্যে দিনকাল যাচ্ছে।’

বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষার তৈরি প্রশ্নপত্রে স্বাক্ষর করে সভাপতি নিজে পার্শ্ববর্তী বাদাঘাট বাজারে গিয়ে ফটোস্ট্যাট করে নিয়ে আসেন। লিখিত-মৌখিক পরীক্ষাও যথারীতি সুন্দরভাবে হয়েছে। নিয়োগ কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে আমরা ৪ জনই স্বাক্ষর করেছি। নিয়োগ কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর না করায় এটি এখনো ঝুলে আছে।’

নিয়োগ বোর্ডের সদস্য, তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বর্তমানে পিআরএল) আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র সভাপতিকে নিয়েই স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে। ফলশিটে আমরা নিয়োগ বোর্ডের ৪ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছি।’

এ বিষয়ে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমির শাহ বলেন, ‘নিয়োগপরীক্ষার পর আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পুনঃনিয়োগ আহ্বান করার জন্য বলেছি। প্রধান শিক্ষক কেন পুনঃনিয়োগ আহ্বান করছেন না, বিষয়টি  বোধগম্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সভাপতি থাকাকালীন এই নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর করবো না।’

নিয়োগ কমিটির সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পরীক্ষা  হয়েছে। রেজাল্ট শিটে নিয়োগ বোর্ডের ডিজি’র প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও অন্য সদস্য লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেননি। এটি অন্যায়ের সামিল।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন