১৭ জুন ২০২৪, সোমবার
আজ ২২ মে সোমবার, ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৮ সালের এই দিনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরপারে পাড়ি জমান তিনি।
তাজিন আহমেদের জন্ম নোয়াখালীতে। বাবা কামাল আহমেদ ও মা দিলারা জলি। ১৯৯২ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে ভোরের কাগজ ও ’৯৭ সালে প্রথম আলোয় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা করেন। ১৩ বছর সাংবাদিকতা করেছেন তাজিন।
মা দিলারা জলি রচিত ও শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত ‘শেষ দেখা শেষ নয়’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তাজিন আহমেদের অভিনয়যাত্রা হয়েছিল। নাটকটি ১৯৯৬ সালে বিটিভিতে প্রচার হয়। এরপর তিনি অসংখ্য নাটক-টেলিছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
অভিনয়ের সঙ্গে তিনি উপস্থাপনাও করেন। এনটিভিতে বাচ্চাদের প্রোগ্রাম ‘টিফিনের ফাঁকে’ ১০ বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপনা করেন। তবে বিটিভির ‘চেতনা’ নামে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থাপনায় যাত্রা করেছিলেন। তারপর অসংখ্য অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন তাজিন আহমেদ।
তাজিন আহমেদ ‘পিপলস রেডিও’তে ‘শহুরে সন্ধ্যা’ নামে একটি লাইভ অনুষ্ঠানের আরজে ছিলেন। এছাড়া তিনি মঞ্চেও কাজ করেন। যুক্ত ছিলেন ‘নাট্যজন’ নাটক দলের সঙ্গে। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে যোগ দেন। ২০০৪ সালে তিনি নাটক লেখালেখি শুরু করেন। মোট ১২টি নাটক লেখেন ও পরিচালনা করেন। তার লেখা ও পরিচালনায় তৈরি হয় ‘যাতক’ ও ‘যোগফল’ নামে দুটি নাটক। উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘অনুর একদিন’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘হুম’, ‘সম্পর্ক’ ইত্যাদি।
তার অভিনীত নাটক হলো, ড. মোহিত কামালের ‘মন’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘মন’। দ্বীপংকর দীপনের রচনা ও পরিচালনায় এক খণ্ডের নাটক ‘জলসত্তা’ ও অরুণ চৌধুরীর রচনা ও পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘নন্দনকানন’। আরও আছে, চাচা ইভেন্ট কোম্পানি, ভয়ংকর সুন্দর দিন, গ্রামের নাম শিমুলপুর, স্মৃতির আলপনা আঁকি, বিদেশি পাড়া। অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেন তিনি।
ঢাকা বিজনেস/এন/
