২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



বৈশাখের গরমে ভরসা হাতপাখার বাতাসে

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:৩৪ এএম
বৈশাখের গরমে ভরসা হাতপাখার বাতাসে


প্রবাদ  আছে, ‘শীতের সময় লকিয়ে থাকো, গরমে দেও দেখা। তাই তো তোমার নামটি সবাই রেখেছিল পাখা।’ সেটি বৈদুৎতিক পাখা নয়। এখানে হাতপাখার কথা বলা হয়েছে। এবার গ্রীষ্ম আসার আগে থেকে বেড়েছে গম। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কদর বেড়েছে সেই হাতপাখারও। সেই হোক প্লাস্টিকের বা কাপড়ের তৈরি হাতপাতা। ব্যবহারকারীরা বলছেন, বাসা-বাড়িতে সাধারণত কাপড়ের তৈরি হাতপাখা আর বিভিন্ন যানবাহনে চলন্ত অবস্থায় তারা প্লাস্টিকের হাতপাখা ব্যবহার করছেন।  

গৃহবধূ আকলিমা খাতুন বলেন, ‘১ সপ্তাহ ধরে চরম তাপদাহ চলছে। পুরুষরা তো বাড়ির বাইরে গিয়ে গাছতলায় বসে থাকতে পারে। কিন্তু আমরা মহিলারা তো আর সেটা পারি না। তাই বাড়িতে কাপড় দিয়ে তৈরি হাতপাখা আছে। হাতপাখা দিয়ে শরীর শীতল রাখার চেষ্টা করি।’ 

আকলিমা খাতুন আরও বলেন, ‘নিজের পাশাপাশি বাচ্চাদেরও হাতপাখা দিয়ে গরম থেকে রক্ষা করতে বাতাস করি। আর রাতেও পরিবারের সবাই কাপড়ের তৈরি হাতপাখা দিয়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করে।’ 

হিলি থেকে দিনাজপুরগামী বাসে উঠে বসে আছেন মো. রফিকুল ইসলাম নমের এক যাত্রী। বাস ছাড়তে আরও ২০ মিনিট বাকি। বাসের ভেতরে গরমে সেদ্ধ হওয়ার উপক্রম তার। ২০ টাকা দিয়ে প্লাস্টিকের তৈরি হাতপাখা কিনে বাতাস করছেন তিনি। 

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাস ছাড়ার পর জানালা দিয়ে বাতাস ঢুকলে তখন হয়তো আর হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হবে না। লোকাল বাসটিকে কোনো ফ্যানের কোনো ব্যবস্থাও নেই। যাত্রীর চাপ বাড়লে কি অবস্থা হবে বলতে পারছি না। 

প্লাস্টিকের তৈরি হাতপাখা বিক্রেতা মো, আমিনুল হক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন সময় ক্রেতাদের চাহিদা  অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করি। কখনো বাদাম, কখনো চকলেটসহ অন্য কিছু। এখন গরম। তাই প্লাস্টিকের তৈরি হাতপাখা বিক্রি করছি। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। প্রতিটি প্লাস্টিকের হাতপাখা পাইকারি ১৫ টাকা পিস কিনে ২০ টাকায় বিক্রি করছি।’ 



আরো পড়ুন