দিনাজপুরের হিলিতে রসুনের দাম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। খুচরা বাজারে ভারতীয় রসুনের চেয়ে ৮০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি রসুন। ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ক্রেতারা বলেছেন, কোনো পণ্যের দাম কেজিতে ৮০ টাকা কম-বেশি হওয়াটা অস্বাভাবিক। আর বিক্রেতারা বলছেন, দেশি রসুনের উৎপাদন ও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেশি।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হিলি বাজারের ক্রেতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রসুন কিনতে এসে তো অবাক হলাম। এক দোকানে এক কেজি রসুনের দাম ২০০ টাকা চায়। বাজার যাচাই করার জন্য অন্য আরেকটি দোকানে গেলে ওই দোকানদার এককেজি রসুনের দাম চায় ১২০ টাকা। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে জানতে পারলাম ২০০ টাকা কেজির রসুন দেশি। আর ১২০ টাকা কেজির রসুন ভারতীয়।’
আরেক ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘রসুন কিনতে এসে তো চোখ কপালে উঠলো। অন্যান্য পণ্যের দামে তো এত ব্যবধান নেই। যেমন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে মাত্র ১০ টাকা ব্যবধান। আর রসুনে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কমবেশি। এটা বোধগম্য নয়। বাজার নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।’
রসুন বিক্রেতা মো. তুহিন হোসেন ঢাকা বিসনেজকে বলেন, ‘বাজারে দেশি রসুনের সরবরাহ কম। তাই দাম বেশি। আমরা ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনে কেউ ১৮০ টাকা আবার কেউ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর ভারতীয় রসুনের দাম নির্ভর করে আমদানি ওপরে। যেদিন বন্দর থেকে যে দামে রসুন কিনি, তার চেয়ে কেজিপ্রতি ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। এরআগে ভারতীয় রসুন ৮০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে। তখন দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।’
এই বিক্রেতা আরও বলেন, ‘ভারতীয় রসুনের তুলনায় দেশি রসুনের মান অনেক ভালো। তাই দামও বেশি। এককেজি ভারতীয় রসুন বাড়িতে নিয়ে পরিষ্কার করার পর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম টিকতে পারে। সেই হিসেবে দাম একই পড়ে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/