আগের দিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন রোদ না ওঠা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পুরো দিনাজপুর। কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো চলাচল করছে ধীরগতিতে। সেইসঙ্গে বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের দাপটও।
শীতের তীব্রতায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষেরা। শীতবস্ত্রের অভাবে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা।
স্থানীয় মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দু’দিন আগে সকাল থেকে সৃর্যের দেখা মিললেও গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) থেকে সকাল ১০ টার আগে সৃর্যের দেখা মিলছে না। কুয়াশায় ঢাকা থাকছে রাস্তা-ঘাট। দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষদের। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
আরেক বৃদ্ধ মো. আজিম উদ্দিন জানান, শীতের তীব্রতায় রোদ না ওঠা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হন না তিনি। শীতের দাপটে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইলতুত মিশ আকন্দ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। বেশিরভাগ রোগী আসছেন সর্দি, কাশি,জ্বর, গলা ব্যাথ্যা নিয়ে। আমরা সাধ্যমতো তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো.তোফাজ্জল হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলায় সকাল ৬ টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ৯৭ শতাংশ।