বিচারবহির্ভূত কর্মকান্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ৬২৬ জন নাগরিককে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। রোববার (১৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এসময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নাগরিক সেনানিবাসে আশ্রয় চেয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তি, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজন (স্ত্রী ও শিশুসহ মোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়।’
পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেছেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আশ্রয়পাওয়া ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থেকে এই পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে,যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন তাদের পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ মোট ৭ জন সেনানিবাসে অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এক্ষেত্রে, গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শনের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে এবং থাকবে।