২৯ জুন ২০২৪, শনিবার



হিলিবন্দরে যে কারণে বাড়ছে যানজট

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৯:৩২ পিএম
হিলিবন্দরে যে কারণে বাড়ছে যানজট


দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন সড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। স্থানীয়রা বলছেন, যানজটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হিলিবন্দরের প্রধান সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুযোগী হয়ে পড়েছে। তাই দূরপাল্লার গাড়িসহ ভারী যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক হিসেবে হিলি চেকপোস্ট হয়ে বাজার সড়কটি ব্যবহার করছে। এতে প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। 

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর (সওজ) বলছে, হিলি বন্দরের প্রধান সড়কটি ফোরলেন হবে। তাই সংস্কার করা হচ্ছে না। জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই ফোরলেন সড়কের কাজ শুরু করা হবে। 



হিলি বন্দরের আমদানিকারক মো. রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ‘হিলিবন্দরের প্রধান সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তাই দূরপাল্লার যানবাহনগুলো বিকল্প হিসেবে বাজার সড়ক ব্যবহার করছে। এতেই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এছাড়া একই সড়ক দিয়েই ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক, হিলি থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী কোচ, দিনাজপুর-জয়পুরহাটগামী দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে থাকে। মাঝেমধ্যে ইট বিছিয়ে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হলেও তা দির্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। কিছুদিন পরে আবারও ইট ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। 

পথচারী মো. সোলায়মান আলী বলেন, ‘বেশি যানজটে পড়তে হয়, হিলি বাজার, চেকপোস্ট রোড় ও চারমাথা মোড়ে। এই মোড়গুলোতে যানজট লেগেই থাকে।’

গাড়িচালক রহমত আলী বলেন, ‘যানজটের কারণে গাড়ি হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডিগ্রি কলেজ ও হাই স্কুলে যেতে চারমাথা মোড় অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু চারমাথা মোড়ে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক, ঢাকাগামী কোচ, পোর্ট থেকে পণ্য নিয়ে বের হওয়া ট্রাক, অটোবাইকের কারণে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় হাসপাতালগামী রোগী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের।’ 

দিনাজপুর সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনফ সরকার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলি জিরো পয়েন্ট থেকে চারমাথা হয়ে পানামা পোর্ট গেট পর্যন্ত ফোরলেন সড়কের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আর চারমাথা মোড় থেকে দক্ষিণদিকে দিনাজপুর জেলার শেষ সীমানা মহিলা কলেজ পর্যন্ত সড়কের টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ওই সড়কের পাশের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। অধিগ্রহণ শেষে আমাদের কাছে হস্তান্তর করলেই ফোরলেন সড়কের কাজ শুরু করা হবে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন