দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সুবিধা সম্প্রসারণে সহায়তা করতে ব্রাজিল আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসান ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য চিহ্নিত ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আগামী জুলাই মাসে আলোচনা বসবে উভয় পক্ষ।’ রোববার (৭ এপ্রিল) সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েরার সঙ্গে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তৈরি পোশাক শিল্পের শুল্কমুক্ত সুবিধা চাই। ব্রাজিল থেকে যে তুলা আমরা আমদানি করি— সেটি দিয়ে তৈরি পোশাক যেন শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। আমাদের ওষুধ শিল্প যেন সহজে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রফতানি করতে পারে এবং অন্যান্য পণ্য যেমন, পাট ও চামড়াজাত পণ্য কিভাবে বাজার সুবিধা পেতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমরা আলোচনা শুরু করেছি। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পারবো, যেখানে তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা যৌথ সমীক্ষা করতে পারবো। একইসঙ্গে আমরা আমাদের বাণিজ্য বাড়াতে পারবো।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্রাজিল অত্যন্ত কম দামে বিভিন্ন দেশে গরুর মাংস সরবরাহ করে। বাংলাদেশেও তারা ব্যবসা করতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত কম দামে ব্রাজিল মাংস সরবরাহ করতে পারে। সে বিষয়ে তারা কথা বলেছে। আগামী কোরবানিকে সামনে রেখে আমি তাদের অনুরোধ করেছি, যদি সস্তাই হয়, তবে জীবন্ত গরু আনার ব্যবস্থা করা যায় কিনা।’
আহসান ইসলাম বলেন, ‘ব্রাজিল মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণে জোর দিয়েছে। আমরা চাইছি যে, শুধু বাংলাদেশের বাজার নয়, তারা যাতে বাংলাদেশে প্রক্রিয়া করার পর গোটা এশিয়াতে রফতানি করে, সেটির বিষয়ে তাদেরকে আমরা উৎসাহিত করেছি।’
পোশাক রপ্তানি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাজিল একটি উন্নয়নশীল দেশ। তারা তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারকে সুরক্ষা দেয়। তৈরি পোশাক শিল্প তাদের একটি সুরক্ষিত বাজার। শুধু চীন ও বাংলাদেশ থেকে তারা আমদানি করে। বাকিটা তারা স্থানীয়ভাবে করার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের কথা দিয়েছে— এটি শুধু ব্রাজিল নয়, বরং গোটা অঞ্চলের জন্য হবে। সেজন্য আমরা সহযোগিতা এমনভাবে করছি—যেন শুধু ব্রাজিল নয়, দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশেও রপ্তানিতে তারা আমাদের সহযোগিতা করে।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই/