দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা। প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন কোম্পানির চেয়ার, টেবিল, বালতি, জগসহ বিভিন্ন গৃহস্থালী জিনিসপত্র এখন মানুষ বেশি কিনছেন। ক্রেতারা বলছেন, প্লাস্টিকের এসব সামগ্রী টেকসই। আর আর বাঁশের তৈরি এসব সামগ্রী কিছুদিন পর ভেঙে যায়। তাই এখন তারা প্লাস্টিকের তৈরি এসব সামগ্রীর দিকে ঝুঁকছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, তারা প্লাস্টিকের তৈরি মানসম্পন্ন চেয়ার, টেবিল, বালতি, জগ বিক্রি করছেন। সাধারণ ক্রেতারাও প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য বেশি কিনছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে হিলি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
প্লাস্টিকের চেয়ার কিনতে আসা মোছা. লুৎফা বেগম বলেন, ‘আমি দু’টি চেয়ার কিনতে এসেছি। কাঠের চেয়ার আর চলে না। এছাড়া তৈরি করতে খরচও বেশি পড়ে। ভারী, রাখতে জায়গার প্রয়োজন বেশি লাগে। আর প্লাস্টিকের চেয়ার ব্যবহার করার পর একটির ওপর আর একটি তুলে রাখা যায়। এতে জায়গা কম লাগে। দামও কাঠের চেয়ারের তুলনায় অনেক কম। কাঠের চেয়ার তৈরির মিস্ত্রীর মজুরি দিয়েই একটি প্লাস্টিকের চেয়ার কেনা যায়। তাই ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে দু’টি প্লাস্টিকের চেয়ার কিনলাম।’
প্লাস্টিকের বালতি কিনতে আসা মো. আনছার আলী বলেন, ‘আগে বাড়িতে টিনের তৈরি বালতি ব্যবহার করতাম। কিন্তু টিনের বালতিতে জং ধরে। ফুটো হয়ে যায়। তাই এখন আর টিনের তৈরি বালতি ব্যবহার করা হয় না। প্লাস্টিকের বালতি সাবধানে ব্যবহার করলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। এর আগে একটি বড় বালতি কিনি। ১ বছর ব্যবহার করেছি। এখনো ভালো আছে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আরও একটি বালতি কিনতে এসেছি।’
হিলি বাজারের প্লাস্টিকের তৈরি সামগ্রী বিক্রেতা মো. উজ্জল হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আগে শুধু অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি করতাম। যখন দেখি, প্লাস্টিকের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে। তখন থেকে প্লাস্টিকের তৈরি, চেয়ার, বালতি, জগ, মগসহ বিভিন্ন গৃহস্থালী জিনিসপত্র দোকানে তুলতে শুরু করি। আমার দোকানে ভালো কোম্পানির উন্নতমানের সামগ্রী রাখি। এগুলো অনেক টেকসই।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই/