২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



বিশ্ব-ইজতেমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে: জিএমপি

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
বিশ্ব-ইজতেমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে: জিএমপি


বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় শেষ বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। কোনো ক্রমেই হকার বসতে দেওয়া হবে না।’ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে ইজতেমার দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা সভা শেষে তিনি এই তথ্য জানান। 

জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এবারের দুই পর্বেই ইজতেমায় ছয় হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ছাড়াও আনসার র‍্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী প্রতি বছরের মতো নিয়োজিত থাকবে।’

কমিশনার বলেন, ‘বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে দায়িত্ব পালন নিয়ে কথা হয়েছে এবং কিছু অমীমাংসিত বিষয় মীমাংসা হয়েছে। দুই পক্ষই একমত হয়েছেন। প্রস্তুতি প্রায় শেষ। খালি জায়গাগুলো পূরণ করা হবে।’

সভা শেষে জুবায়ের পন্থিদের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা দুই গ্রুপ বসেছিলাম। সব বিষয়ে ফয়সালা হয়েছে। এখন আর কোনও ঝামেলা নেই।’

একই গ্রুপের সুরা সদস্য আহাম্মদ আলী বলেন, ‘৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ফাঁকা জায়গায় শামিয়ানা বিভিন্ন জেলা থেকে আসবে।’ 

শামিয়ানার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোন সংকট নেই। ইজতেমার জায়গা বেড়েছে তাই চাহিদাও বেড়েছে। দিয়াবাড়িতে থাকা শামিয়ানা আসবে।’

সাদ গ্রুপের প্রতিনিধি দলের প্রধান রেজাউল করিম বলেন, ‘সমঝোতা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।’

একই গ্রুপের শুরা সদস্য মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছু দামি জিনিসপত্র ওরা নিয়ে গিয়েছিল গত বছর। সেগুলোর বিষয়ে কথা হয়েছে।’

এদিকে, বিশ্ব ইজতেমার মূল ময়দানের অনেকাংশ এখনো ফাঁকা রয়েছে। শেষ হয়নি মূলমঞ্চের কাজ। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দিয়াবাড়িতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ময়দান করার চেষ্টা বন্ধ হওয়ার পর ওই মাঠ থেকে শামিয়ানাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম এখনও টঙ্গী ময়দানে আসেনি। ফলে আয়োজনে সংকট চলছে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মাহবুব আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, জুবায়ের পন্থিদের প্রতিনিধি প্রকৌশল মেজবাহ উদ্দিন, সাদ পন্থিদের আমির রেজাউল করিম সাদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিশ্ব ইজতেমা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের প্রতিনিধিরা।

প্রসঙ্গত, টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।



আরো পড়ুন