১৮ মে ২০২৪, শনিবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

প্রযুক্তি ও কৃষি খাতে গবি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট

গবি প্রতিনিধি || ২২ জুলাই, ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
প্রযুক্তি ও কৃষি খাতে গবি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট


দেশের তথ্য-প্রযুক্তি ও কৃষি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে ২টি অ্যাপ ও ১টি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২৮তম ব্যাচের স্নাতক শ্রেণির ফাইনাল প্রজেক্ট ডিফেন্সে তারা এই ৩টি প্রজেক্ট প্রদর্শন করেন।

তারা বলেন, বিনিয়োগ সহযোগী ওয়েবসাইট বিনিয়োগ প্রত্যাশী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ ঘটাবে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থনীতিতে অর্থের প্রবাহ বজায় থাকবে। 

প্রজেক্ট তিনটি হলো- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রচিত লেখা শনাক্তকরণ অ্যাপ, ছাদ কৃষি বিষয়ক মোবাইল অ্যাপ এবং বিনিয়োগ সহযোগী ওয়েবসাইট। 

শিক্ষার্থীরা জানান, ছাদ কৃষি বিষয়ক মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে ছাদ কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার কাজে ব্যবহার ও সমস্যার সমাধান প্রদান করা হবে। মানুষকে ছাদ কৃষি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করাই এর মূল উদ্দেশ্য।

এর আগে গবি'র সিএসই বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও  সময়োপযোগী এবং আকর্ষণীয় প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো Agriculture Drone, Desktop Voice Assisted Home Automation System ও IOT এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর আধুনিক বাগান পরিচর্যা ও পানি দান পদ্ধতি। 

IOT এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর আধুনিক বাগান পরিচর্যা ও পানি দান পদ্ধতি হলো মোবাইল অ্যাপ্লকেশনের মাধ্যমে ছাদ বাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য স্মার্ট সমাধান। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে নিজ বাগানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বাগানের গাছের নাম ও যত্ন, রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ, মাটির সার ও জৈবিক উপাদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানা যাবে এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে। 

এগ্রিকালচার ড্রোনের মাধ্যমে কৃষি জমি বা ফার্মে মশা নিধনের জন্য কীটনাশক, ভিটামিন, হরমোন ইত্যাদি খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োগ করা যাবে। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ৪০ ডেসিমাল কীটনাশক জমিতে স্প্রে করা যাবে। যার জন্য খরচ হবে মাত্র ১০ টাকা।

Desktop Voice Assisted Home Automation System এর মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য এই সিস্টেমটি তৈরি করা হয়। ডেস্কটপ-ল্যাপটপ বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে স্মার্ট হোম বানানো যাবে। ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। হোম অটোমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা যায়।এই সিস্টেমের কার্যাদির দিক থেকে গুগলের আলেক্সার সঙ্গে তুলনা করছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের এসব প্রজেক্ট সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান, সার্বিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. করম নেওয়াজ। 

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের উদ্ভাবন দেশের প্রযুক্তি বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  রাখবে এবং আধুনিক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমি আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে যাবো।

এদিকে, আধুনিক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়ত কার্যকর ও সময়োপযোগী প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন তারা।

ঢাকা বিজনেস/সেতু/এইচ



আরো পড়ুন