০৯ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার



দেশে ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যানসারের জীবাণু

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:০১ পিএম
দেশে ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যানসারের জীবাণু


বাংলাদেশের পানযোগ্য পানির ৪৯ শতাংশে বিপজ্জনক মাত্রায় ক্যানসারের জীবাণু রয়েছে।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পিএলওএস ওয়ান নামের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সংকটকে তুলে ধরে এই গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত প্রবল বন্যা এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ জলবায়ু সংকটের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মৌসুমি বন্যার কারণে আর্সেনিকের মাত্রা বাড়ে৷ যখন সমুদ্রের নোনা পানি মিষ্টি পানির সঙ্গে মিশে যায়, তখন পলি থেকে আর্সেনিক নির্গত হয়।

২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে যায়। বর্ষার তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের গড়ে ২১ শতাংশ অঞ্চলে বন্যায় প্লাবিত হয়।

গবেষকরা আর্সেনিক নিঃসরণের পেছনের গতিশীলতা বোঝার জন্য অক্সিজেনের ঘনত্ব, পিএইচ ও তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য সারা বাংলাদেশে কূপ থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত পানীয় জলের নিরাপদ সীমা প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১০ মাইক্রোগ্রাম। বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির প্রায় ৪৯ শতাংশে আর্সেনিকের ঘনত্ব ওই সীমার বেশি। কিছু নমুনায় আর্সেনিকের ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি লিটারে প্রায় ৪৫০ মাইক্রোগ্রাম। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মাত্রার ৪৫ গুণ।

গবেষণার লেখক ও নরউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেথ ফ্রিসবি বলেন, ‘এই সংক্রমণ বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রতিবেশি দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও দেখা গেছে।’

অনুসন্ধানের প্রতিক্রিয়ায় দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফের দারিদ্র্য নিরসনের সিনিয়র নীতি উপদেষ্টা জেমি উইলিয়ামস বলেন, ‘বাংলাদেশ এরই মধ্যেই মৎস্য এলাকায় কীটনাশক প্রয়োগ করে দূষণের কারণে পানির সংকটে ভুগছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, হিমালয় পর্বত ও এর পাদদেশের প্রধান নদীগুলো দ্বারা অধ্যুষিত সীমিত নিম্নভূমিতে সৃষ্ট নালাগুলো বাংলাদেশের জলবায়ুকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। অনেক মানুষ ভূমিহীন এবং বন্যাপ্রবণ জমিতে বসবাস ও চাষাবাদ করতে বাধ্য হচ্ছে। পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।’

গবেষকরা ভূগর্ভস্থ পানির দূষণ রোধে জল পরিশোধন প্রযুক্তি ও অবকাঠামো নির্মাণসহ সম্ভাব্য সমাধানগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।



আরো পড়ুন