২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



বিশেষ প্রতিবেদন
প্রিন্ট

স্বর্ণের আমদানি-নীতি সহজ করলে বাড়বে রাজস্ব, আসবে বিদেশি মুদ্রা

মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান || ২২ জুন, ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম
স্বর্ণের আমদানি-নীতি সহজ করলে বাড়বে রাজস্ব, আসবে বিদেশি মুদ্রা


দেশের অর্থনীতিতে দিনে দিনে জুয়েলারি খাতের গুরুত্ব বাড়ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদরা। তবে, তারা বিদেশ থেকে যাত্রীদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় স্বর্ণ আনার নীতিমালা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ব্যাগেজ রুলসের পরিবর্তে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানিনীতি সহজ করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি স্বর্ণের রিফাইনারি কারখানা গড়ে তুলে জুয়েলারি শিল্পে সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে অলঙ্কার-বার-কয়েন রপ্তানি করলে বিদেশি মুদ্রাও আসবে। 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-সূত্রে জানা গেছে, জুয়েলারি খাতের স্থানীয় পর্যায় থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব এসেছে ৩২ কোটি ৪৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। আর ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এসেছে ৫১ কোটি ৭৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা রাজস্ব। 

জুয়েলারি খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনবিআরসহ সরকারের অন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)-এর সঙ্গে মিলে একটা গাইডলাইন তৈরি করতে পারে। স্বর্ণ যদি রপ্তানির উদ্দেশ্যে আমদানি করা হয়, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে স্বর্ণ খাতের মোট টার্নওভার দাঁড়াবে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। 

বাজুস-সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি সদস্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কর্ম সংস্থান হয়েছে। আগামীতে এই শিল্পে এককোটি মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব। 

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘কিউওয়াই রিসার্চ’ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে ২৮৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণের বার ও রুপার অলঙ্কার বিক্রি হয়েছে। ২০২২ সাল থেকে এসব পণ্যের বাজার প্রতিবছর গড়ে ১২ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়ছে। এই হিসাবে ২০৩০ সালে বাংলাদেশে স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণের বার ও রুপা মিলিয়ে মোট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ১০৯ কোটি ৬০ কোটি মার্কিন ডলারে।

বাজুস-সূত্রে জানা গেছে, দেশে স্বর্ণের পরিশোধনাগার (রিফাইনারি) হচ্ছে। অটোমেটেড ফ্যাক্টরিগুলো জেনারেট হচ্ছে। ইতোমধ্যে বড় আকারের বিনিয়োগের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশে প্রথম স্বর্ণ শোধনাগার প্লান্ট স্থাপন করেছে। এই পরিশোধনাগারে একবার উৎপাদন শুরু হলে চীন, ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপে বাংলাদেশি স্বর্ণের বিশাল বাজার তৈরি হবে। বর্তমানে অধিকাংশ স্বর্ণ বিদেশ থেকে ব্যাগেজ রুলস ও চোরাই পথে আসছে। চোরাই পথে স্বর্ণ আসায় প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

দেশে রিফাইনারি চালু হলে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে বিদেশে বাংলাদেশের পরিশোধিত স্বর্ণের বাজার তৈরি হবে। বিদেশ থেকে অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ এনে দেশে শোধন করা হলে আমদানিব্যয় কমবে। পাশাপাশি দেশে পরিশোধন করা স্বর্ণ থেকে বার, কয়েন ও অলঙ্কার তৈরি করলে রাজস্বও বাড়বে। 

রাজধানীর ‘সিদ্দিকিন জুয়েলার্স’-এর মালিক খোকন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘স্বর্ণের দাম বেশি হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে কমে গেছে। স্বর্ণ-ব্যবসা তলানিতে ঠেকেছে। আমার দুই জন স্টাফ রয়েছেন। তাদের ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা সেলারি দিয়ে থাকি। তাদের এই টাকা দিয়েই সংসার চলে। তবে আশা করছি, আগামীতে স্বর্ণের ব্যবসা ভালো হবে। তখন দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি পরিমাণে অবদান রাখতে পারবো।’

গাইবান্ধার তালুকদার জুয়েলার্সের কর্ণধার আব্দুর রহিম তালুকদার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘জাতীয় অর্থনীতিতে আমাদের মতো ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান কিছুটা হলেও অবদান রেখে চলেছে। তবে, বাজারে স্বর্ণের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে আমরা আরও বেশি অবদান রাখতে পারবো। আমার দোকানে মোট ২ জন স্টাফ রয়েছেন। তাদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে থাকি।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  ব্যাগেজ রুলস বন্ধ করে দিয়ে আমদানি-নীতিকে সহজ করে দিতে হবে। অনেকেই বিদেশ থেকে ডলার না পাঠিয়ে ব্যাগেজ রুলস পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বর্ণ কিনে আনেন। কেউ কেউ বিদেশে যান শুধু স্বর্ণ আনার জন্য। তারা বিদেশে কিছুদিন থেকেই ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণ নিয়ে আসেন। অথচ তারা এই ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা কোথায় পেলেন, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। এখানে এনবিআরকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এই টাকার উৎস কোথায়? এই টাকা হোয়াইট মানি কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাগেজ রুলসের আওতায় আগে যাত্রীরা সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারতেন। প্রতিভরি স্বর্ণের জন্য কাস্টমস ডিউটি দিতে হতো ২ হাজার টাকা। পরে অবশ্য ব্যাগেজ রুলসকে নিরুৎসাহিত করতে যাত্রীদের ১১৭ গ্রাম স্বর্ণ আনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন প্রতিভরির জন্য কাস্টমস ডিউটি দিতে হবে ৪ হাজার টাকা। এতে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি হয়েছে। দেশের স্বর্ণের দাম বেড়েছে। কারণ, যারা ব্যাগেজ রুলস পদ্ধতিতে স্বর্ণ আনেন, তারা অধিকাংশই বিক্রি করে দেন। গত একবছরে ব্যাগেজ রুলসে ৫৫ টন স্বর্ণ দেশে এসেছে। অথচ এই স্বর্ণ যদি বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা হতো, তবে সরকারের কোষাগারে রাজস্ব জমা হতো অনেক বেশি।   

স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে ব্যাগেজ রুলসে স্বর্ণ আনা যত সহজ, আমদানি করা ততটাই কঠিন। কারণ স্বর্ণ আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে ১৫ দিন সময় লেগে যায়। এরপর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স হওয়ার পর বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার পর ওই স্বর্ণ আমদানিকারকদের হাতে পৌঁছায়। এতে আরও ১৫ দিনের মতো সময় লেগে যায়। আমদানিকারকের হাতে স্বর্ণ পৌঁছাতে বেশি দেরি হওয়ায় তারা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারেন না। কারণ প্রতিনিয়ত স্বর্ণের দাম ওঠা-নামা করে। এসব কারণে অনেকেই আমদানি না করে ব্যাগেজ রুলস অথবা চোরাই পথে স্বর্ণ নিয়ে আসেন। 

এদিকে স্বর্ণ কেনাবেচায় ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এই ভ্যাট দিতে গিয়ে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। ফলে স্বর্ণ আশানুরূপ কেনাবেচা করা যায় না। তাই সরকারও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পায় না এই খাত থেকে।

বাজুসের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলঙ্কার ও বার দেশে আসছে। যা বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনীতিতে জুয়েলারি খাতের অবদান বাড়াতে হলে সরকারকে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার ও চোরাচালান বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।   

অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে জুয়েলারি খাত যে অবদান রাখছে, তার চেয়ে বেশি অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। সেজন্য সরকার, ব্যবসায়ী ও এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জুয়েলারি শিল্পকে রপ্তানিমুখী করতে কাজ করতে হবে।’

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘ভারতের গহনা শিল্পের সাফল্য থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। জুয়েলারি খাতে প্রযুক্তিগত, দক্ষতা, নকশা ও অন্যান্য সুবিধার জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। স্বর্ণালঙ্কারের সব ধরনের অবৈধ ব্যবসা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অবৈধ ব্যবসা বন্ধে বাজুসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে।’

বাজুসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘স্বর্ণের আমদনি-নীতি সহজ করতে হবে। স্বর্ণ আমদানিতে যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার সুযোগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগে থেকে অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল করতে হবে। এরপর আমদানি স্বর্ণ বিমানবন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা সরাসরি যেন নিয়ে আসতে পারেন। প্রয়োজনে বিমানবন্দরেই তারা বিক্রি করে দেবেন।’

মাসুদুর রহমান আরও বলেন, ‘স্বর্ণের পরীক্ষা-নীরিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ আমরা স্বর্ণের পরিবর্তে তো রূপা বা তামা আনবো না। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্যবসায়ীরা বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানিতে উৎসাহী হবেন। দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে এই খাত। এই খাত থেকে রাজস্ব বাড়াতে সরকারের সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

বাজুসের এই নেতা বলেন, ‘‘২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ এর অনুমোদন দেওয়া হয়। যা ২০২১ সালের অক্টোবরের ২৮ তারিখ সংশোধন করে সরকার। সরকার স্বর্ণ রিফাইনারি কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার অনুসরণীয় পদ্ধতিরও অনুমোদন দিয়েছে। এই নীতিমালা হওয়ায় ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে স্বর্ণ খাতের অবদান আরও বাড়বে। পাশাপাশি স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানি বাণিজ্য শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করবে না, একইসঙ্গে এই খাতে কর্মরত প্রায় ৩ লাখ কারিগরের চাকরির নিরাপত্তাও দেবে।’

এদিকে, ব্যাগেজ রুলের আওতায় বর্তমানে বিদেশ থেকে আনা গহনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ১০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করেছে বাজুস। এতে করে স্থানীয় স্বর্ণশিল্পীদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় জুয়েলারি শিল্পের দিকে ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করা যাবে। 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সেক্রেটারি (কাস্টমস পলিসি অ্যান্ড বাজেট) মো. পারভেজ রেজা চৌধুরী ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বিদেশ থেকে যাত্রীদের ব্যাগেজ রুলস পদ্ধতিতে স্বর্ণ আনতে নিরুৎসাহিত করতে ভরিপ্রতি ট্যাক্সের হার বাড়িয়ে দিয়েছি। আগে প্রতিভরিতে ২ হাজার টাকা লাগতো। এখন ৪ হাজার টাকা লাগে।’

মো. পারভেজ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘যারা ব্যাগেজ রুলসের আওতায় স্বর্ণ নিয়ে আসেন, তারা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের জন্য নিয়ে আসেন। এখন কেউ যদি ব্যাগেজ রুলসের অপব্যবহার করে, তা তো আমাদের বোঝার কথা নয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা আছে এসব বিষয় মনিটরিংয়ের জন্য। তারা মনিটরিং করবে। আর আমদানি করা স্বর্ণ আমাদের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ছেড়ে দেয়। এখন বিএসটিআই যদি পরীক্ষা করতে দেরি করে, তা তো আমাদের দেখার কথা নয়। আমরাও চাই, খুব সহজে বৈধপথে স্বর্ণ আমদানি হোক। এতে স্বর্ণ খাত থেকে রাজস্বও বাড়বে।’

বিএসটিআই-এর উপপরিচালক (সিএম) মো. রিয়াজুল হক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমদানি করা স্বর্ণ ও উচ্চমানের স্বর্ণ টেস্টিং করা হয় খুব কম সময়ের মধ্যে। যারা বলেন, বিএসটিআই থেকে আমদানির স্বর্ণ হাতে পেতে ১৫ দিন সময় লাগে, তারা ভুল বলেন। আবেদন পাওয়ার পর কাস্টমস থেকে স্বর্ণের নমুনা নিয়ে এসে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ছাড়পত্র দিতে আমাদের সর্বোচ্চ ৫ কার্যদিবস সময় লাগে। অধিকাংশ সময় দুই থেকে তিন কার্যদিবসই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তাহলে কিভাবে তারা বলে ১৫ দিন সময় লাগে? এখন ধরে নিলাম আমদানিকারক স্বর্ণের পরিবর্তে রূপা বা তামা নিয়ে আসবেন না। এরপরও বিএসটিআইয়ের পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তারা যে স্বর্ণ নিয়ে আসেন, সেটি পিওর গোল্ড, না ২২ ক্যারেট বা অন্য ক্যারেটের স্বর্ণ, তা পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে স্বর্ণ খাত যেন বিশেষ অবদান রাখতে পারে, এজন্য আমরাও এই শিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক সারোয়ার হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘স্বর্ণ আমদানিতে অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কখনোই দেরি করে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্রুততম সময়ের মধ্যেই স্বর্ণ আমদানির অনুমোদন দিয়ে দেয়। এখন কোনো ব্যাংক যদি দেরিতে অনুমোদন চায়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের দোষ নেই। আর স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে।’

সারোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘দেশে কী পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি হয়, তার একটি হিসাব রাখতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। মনিটরিং করতে হয়। কারণ সরকার এখান থেকে রাজস্ব পায়। দেশের অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান প্রতিনিয়তই বাড়ছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন