দিনাজপুরের হিলির চারমাথাসহ বাজারে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল পার্টসের দোকান। রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, জয়পুরহাট, পলাশবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল মালিকেরা হিলিতে আসেন বিভিন্ন পার্টস কেনার জন্য।
ক্রেতারা বলছেন, হিলিতে মোটরসাইকেলের পার্টসের দাম, তাদের এলাকার চেয়ে কম। তাই তারা মোটরসাইকেলের পার্টস কিনতে হিলি আসেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, মোটরসাইকেলের যেসব যন্ত্রাংশ বিক্রি করেন, তা ভারত থেকে হিলিসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। বিক্রিও মোটামুটি ভালো হয়।
দিনাজপুর থেকে হিলি আসা মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে মোটরসাইকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনতে হিলিতে আসি। আজ (৮ জুলাই) এসেছি নিজের পালসার মোটরসাইকেলের একটা পার্টস কিনতে। এরআগেও এসেছি। ’
রেজাউল ইসলাম আর বলেন, ‘দিনাজপুরের চেয়ে হিলিতে মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশের দাম তুলনামূলক কম। তাই আমরা বন্ধুরা মোটরসাইকেলের যে-কোনো পার্টস কিনতে হিলিতে আসি।’
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এসেছেন গোপাল মোহন্ত। তিনি বলেন, ‘আমার ডিসকভার-১৩৫ সিসি মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপ কিনতে এসেছি। গাইবান্ধায় ডিসকভার-১৩৫-এর সাইলেন্সার পাইপ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হিলিতে আসা। এখানে ভারত থেকে আমদানি করা সাইলেন্সার পাইপ পাওয়া যায়। মোবাইলে যোগাযোগ করে এসেছি। কেনার পর সেট করে নিয়ে যাবো। দাম কমবেশি যাই হোক, হবেই। ডিসকভার-১৩৫-এর যন্ত্রাংশ মেলানোই কঠিন।’
হিলির মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ বিক্রেতা মাহমুদুল অটোজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিতে অর্ধ শতাধিক মোটরসাইকেল পার্টসের দোকান আছে। এর মধ্যে অনেকে মোটরসাইকেলের পার্টস আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করেন। আবার অনেকে নিজেই আমদানি করেন। তাই দাম অনেক কম পড়ে।’
মো. আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা অন্যান্য জায়গার চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে পারি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল মালিকেরা হিলিতে আসেন পার্টস কিনতে। বিক্রিও মোটমুটি ভালোই হয়।’