আনন ফাউন্ডেশন তরুণ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পাচ্ছেন মীম নোশিন নাওয়াল খান। শিশুসাহিত্যে উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। পুরস্কারের মূল্যমান হিসাবে সে নগদ ২৫ হাজার টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র পাবে। এছাড়া আনন প্রকাশন থেকে তার একটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। আনন ফাউন্ডেশন-এর ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৬ সেপ্টেম্বর তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।
মীম নোশিন নাওয়াল খান ২০০১ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. আব্দুল মোনেম খান ও মা হোসনে আরা রশিদ। তিনি২০২৪ সালে গেটিসবার্গ কলেজ, পেনসিলভেনিয়া, ইউএসএ থেকে রসায়নে সম্মানসহ ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি ও ২০১৯ সালে এইচএসসি পাস করেন। শিশুসাহিত্য রচনার জন্য তিনি ৬ বার মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড (২০১০, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮) পেয়েছেন। প্রথম আলো ঐতিহ্য গোল্লাছুট গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ২০১১ সালে। ২০২২ সালে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন Virginia Wolf Essay Contest, Pennsylvania-এ অংশ নিয়ে।
মীম নোশিন নাওয়াল খানের প্রকাশিত বইগুলো হলো: কনকচাঁপা (ঝিঙেফুল, ২০০৯), স্বপ্নপুরী (ডেস্ক পাবলিশার্স, ২০১০), বুকের ভিতর স্বপ্ন (বাংলাদেশ গণিত ফাউন্ডেশন, ২০১১), রূপার নূপুর (বাংলাদেশ গণিত ফাউন্ডেশন, ২০১২), একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের ডায়রি (ঝিঙেফুল, ২০১৩), খেয়া এবং... (পার্ল পাবলিকেশন্স, ২০১৪), মৎস্যকুমারী রাজকন্যা (সাহস পাবলিকেশন্স, ২০১৪), রাজকন্যা পানিকা (সাহস পাবলিকেশন্স, ২০১৪), আয়লিন ও স্বর্ণরহস্য (পার্ল পাবলিকেশন্স, ২০১৫), কলাপাতার বাঁশি (সাহস পাবলিকেশন্স, ২০১৫), দূর্বা (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০১৬), পড়শি (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০১৭), বোকা মানুষটা ও পাগলি মেয়েটা (পার্ল পাবলিকেশন্স, ২০১৭), নির্ভূম (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০১৮), পুতুলের ইস্কুলব্যাগ (সাহস পাবলিকেশন্স, ২০১৮), টুপিটুন (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০১৯), বেলুন মামা (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০২০), তিতলির ঘরে থাকা (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০২১), নদীর গল্প (বিদ্যাপ্রকাশ, ২০২২)।