শিশুরা যেন ভবিষ্যতে চাঁদে যেতে পারে সেজন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা একদিন চাঁদে যাবো। কাজেই এখন থেকেই সেভাবে তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ শনিবার (৬ জুলাই) গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধনকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুলটিতে এই সময় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের আঁকা ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামেরও মোড়ক উন্মোচন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট বেলা থেকেই মানুষের জন্য আলাদা একটা দরদ ছিল। অন্নহীন, ছিন্ন কাপড় পরিহিত মানুষ, থাকার জায়গা নেই, এই জিনিষগুলো তাকে খুব ব্যথিত করতো। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্যই কাজ করতেন। নিজের জীবনের কোন সুখ, সুবিধা কিছুই দেখেন নি। শুধু একটাই চিন্তা ছিল এদেশের মানুষকে কীভাবে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি দেবেন। কীভাবে একটা উন্নত জীবন দিবেন এবং ছোট্ট শিশুরা যাতে একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই তার লক্ষ্য ছিল।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি আজ যে উদ্যোগ এখানে নেওয়া হয়েছে অথবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যেসব শিশু, তাদের আঁকা ছবি দিয়ে অ্যালবাম করা বা ছবির মাধ্যমে ইতিহাসকে যে তুলে ধরা-আসলে ছবিতো কথা বলে এবং এর মাধ্যমে শিশুদের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে।’
এই উদ্যোগের জন্য শিক্ষক, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর আমার ছোট্ট সোনামনি, তোমাদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ রইল। তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হও। কারণ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তার তোমরাই হবে তার স্মার্ট নাগরিক, যারা দেশ চালাবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমাদের মাঝ থেকেই বের হয়ে আসবে আমার মত প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে গবেষণা করবে, বিজ্ঞানী হবে।’