সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ছিলো টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে জেতা হলো না বাংলাদেশের। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কিউইদের কাছে ৭ উইকেটে হেরে সিরিজ হাত ছাড়া করলো টাইগাররা।
বুধবার নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ২২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে টাইগারদের বিপক্ষে কিউইদের এটি টানা ১৮তম জয়।
এদিন বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে কিউইরা করে ৬১ রান। এরপরে আরও চড়াও হতে থাকেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। তবে ১১তম ওভারের শেষ বলে হাফ সেঞ্চুরির আগে রাচিনকে সাজঘরে পাঠান হাসান। ৩৩ বলে ৪৫ রান করে রিশাদ হোসেনের হাতে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন রাচিন।
রাচিনের পরে উইকেটে আসেন হেনরি নিকোলস। তাকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াং রানের খাতা এগিয়ে নেন। ১৭তম ওভারে দলীয় শতক পার করে নিউজিল্যান্ড। ওই ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কিউই ওপেনার ইয়াং। সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া ইয়াং অবশ্য ৮৪ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় তিনি বেঁচে যান।
কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি কিউই ওপেনারের। তাকে সেঞ্চুরির আগেই মাঠ ছাড়তে হয়। ব্যক্তিগত ৮৯ রান করে ৩২.৫ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াং। ৮টি চার ও ২টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস। এরপরে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ফেরেন নিকোলস। তিনি ৯৯ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৯৫ রান করে আউট হন। ৪০.৪ ওভারে শরিফুলের বলে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নিকোলস।
এরপরে অবশ্য জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি নিউজিল্যান্ডের। শেষ দিকে টম ব্লান্ডেল ও অধিনায়ক টম লাথাম মিলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৩৬ রান। এ দিকে বাংলাদেশের বোলাররা এ দিন কাজের কাজ করতে পারেননি। হাসান দুটি উইকেট পেলেও সেটি ম্যাচে তেমন প্রভাব ফেলেনি। তুলনামূলক ভালো বল করে উইকেটশূন্য ছিলেন মিরাজ। আর অভিষিক্ত রিশাদও ছিলেন নিষ্প্রভ। ৫৬টি বল করে এই লেগস্পিনার দিয়েছেন ৬২ রান।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/