গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ৩৩ ট্রাক প্রবেশ করেছে। এক সপ্তাহ পর রোববার (২৯ অক্টোবর) গাজায় এই ত্রাণ পৌঁছালে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে এটি সর্ববৃহৎ ত্রাণ বহর। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে?
জাতিসংঘ মানবিক সংস্থা ওসিএইচও জানায়, মিশরের সঙ্গে লাগোয়া রাফাহ সীমান্ত দিয়ে রোববার ৩৩ ট্রাক পানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করেছে।
ওসিএইচও সোমবার পাঠানো গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্যে বলেছে, এটি হচ্ছে ২১ অক্টোবরের পর গাজায় পাঠানো মানবিক সহায়তার বৃহত্তম চালান। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর ২১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো সীমিত পরিসরে ত্রাণ সরবরাহ ফের শুরু করা হয়। এতে আরও জানানো হয়, ফের ত্রাণ সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ১১৭ ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করেছে। গাজা উপত্যকা একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং অবিরাম ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের মুখোমুখি হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার আগে গাজায় প্রতিদিন প্রায় ৫শ’ ট্রাক সাহায্য এবং অন্যান্য পণ্য প্রবেশ করতো।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে চালানো হামাসের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ লোক নিহত হয়েছে। হামাসের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। হামাসের হামলার প্রথম দিনে তাদের নির্বিচারে গুলি করে ও পুড়িয়ে মারার এবং ২৩০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করার পর ইসরায়েল গাজা অবরোধ করে এবং সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়।
গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় চালানো ইসরায়েলের হামলায় ৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। তাদের প্রায় অর্ধেক শিশু। আহত হয়েছে প্রায় ৩ হাজারের বেশি।
সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
/ঢাকা বিজনেস/