২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু এলাকায় পর্যটক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা || ২০ অক্টোবর, ২০২৩, ০১:১০ পিএম
রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু এলাকায় পর্যটক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার


আবারও চলাচলের উপযোগী হয়েছে ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত ঝুলন্ত সেত। অতি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতুটি দীর্ঘ ১ মাস ১৬ দিন পর ভেসে উঠেছে। চলাচলের উপযোগী হওয়ায় পর্যটন এলাকায় দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে দেখা যায়, ঝুলন্ত সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ায় আবারও নতুনভাবে শুরু হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। এদিকে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি আগত পর্যটকসহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি হ্রদ, পাহাড় ও ঝরনার মিলনমেলার জেলা রাঙ্গামাটি। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর এই জেলায় দেশি-বিদেশি কয়েক লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতু।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, এবারের বর্ষা মৌসুমে রাঙ্গামাটিতে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার ফলে ডুবে যায় ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত পর্যটন ঝুলন্ত সেতু। এ কারণে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঝুলন্ত সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পর্যটন এলাকায় নিষেধজ্ঞা দেওয়া হয়। পানি কমে যাওয়ার ফলে ঝুলন্ত সেতু ভেসে উঠায় গতকাল ১ মাস ১৬ দিন পর আবারও আমরা পযটকদের জন্য ঝুলন্ত সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’ 

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পর্যটন এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করাসহ পর্যটকদের চলাচলের উপযোগী করতে আমরা রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা পুরো এলাকাটি সবার জন্য চলাচলের উপযোগী করতে পারবো।’

রাঙ্গামাটি পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার মো. রমজান আলী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারণে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকার কারণে আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিগত দেড়মাস ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পরিস্থতি এখন আবার স্বাভাবিক হওয়াতে আশা করছি আগের ক্ষতি পুষিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবো।’

কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবছরই ঝুলন্ত সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানির স্তর ১০৯ ফুট থাকলেও হ্রদে ১০৫ ফুট পানি হলেই ডুবে যায় পর্যটনের এই ঝুলন্ত সেতু। এ কারণে পুরোনো ঝুলন্ত সেতুসহ পর্যটন এলাকাটি পর্যটকদের জন্য আরো আধুনিকায়ন করার দাবি এলাকাবাসীর।

ঢাকা বিজনেস/এইচ 



আরো পড়ুন