২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার



চুয়াডাঙ্গা দিয়ে দেশে এলো ভারত থেকে ২০ রেল-ইঞ্জিন

মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা || ২৩ মে, ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম
চুয়াডাঙ্গা দিয়ে দেশে এলো ভারত থেকে ২০ রেল-ইঞ্জিন


চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্টেশন দিয়ে দেশে এলো ভারতীয় অনুদানের ২০টি রেল-ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ)।  মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকাল ৫ টার দিকে ডিজেলচালিত ব্রডগেজ ইঞ্জিনগুলোদর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। ডব্লিউ ডি এম-থ্রিডি ধরনের এসব ইঞ্জিনের হর্স পাওয়ার ৩ হাজার ৩০০ এবং এক্সেল লোড ক্ষমতা ১৯ দশমিক ৫ টন। এসব ইঞ্জিনের গড় আয়ুষ্কাল হবে ৮ থেকে ১০ বছর। 

রেল-ইঞ্জিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ রেলভবনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং ভারতের নয়াদিল্লি রেলভবনে দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিকে, দর্শনা রেলস্টেশন থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশের পশ্চিম রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার। 

দর্শনায় রেল-ইঞ্জিনগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সিনিয়র প্রকৌশলী শাহেদ জামানের হস্তান্তর করেন ভারত রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অশোক কুমার বিশ্বাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) বিভাগের কর্মকর্তারা, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘ভারতের গেদে থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টায় ২০টি ডিজেলচালিত ব্রডগেজ ইঞ্জিন ছেড়ে আসে। বাংলাদেশের দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন বিকাল ৫ টায় গ্রহণ করি।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অংশুমান রায় চৌধুরী বলেন, ‘ভারত সরকারের দেওয়া উপহার হিসেবে ২০টি ডিজেল চালিত ব্রডগেজ ইঞ্জিন দর্শনা দেশে এসেছে। এগুলো সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় পাঠানো হবে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মালবাহী ট্রেন, নতুন ট্রেন ও যেসব ট্রেনের ইঞ্জিন ঘাটতি আছে, সেগুলোতে সংযুক্ত করা হবে।’

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সম্পাদনের পর ব্রডগেজ ইঞ্জিনগুলোর সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের বিস্তারিত (স্পেসিফিকেশন) যাচাই, আমদানি ছাড়পত্র গ্রহণ, কাস্টমস ডিউটি, ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশে আনা হয়েছে। ঈশরদী থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ইঞ্জিনগুলো পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হবে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন