১৮ মে ২০২৪, শনিবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

ইবিতে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহপাঠীদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

ইবি প্রতিনিধি || ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০৯ পিএম
ইবিতে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহপাঠীদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন


কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সহপাঠী রিজভী আহমেদ রুপমের বিরুদ্ধে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ইংরেজি বিভাগের ২০২ নং কক্ষের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির কাছে ভুক্তভোগীকে ঘটনার বিবরণসহ লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে, 'আমি ক্লাসের ক্লাস ওয়ার্ক নিয়ে মামুনুর রহমান স্যারের রুমে যাই জমা দিতে। এসময় আমি আমার সহযোগী সিআর ফেরদৌসকে ডাকি আমার সঙ্গে যাওয়ার জন্য। সেখানে রুপমও উপস্থিত ছিল। এসময় রুপম আমাদের পিছু নেয়। ক্লাসরুম পার হতেই রুপম দৌড়ে এসে পিছন থেকে আমার ঘাড় চেপে ধরে ধাতব বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। আমার হাতে ক্লাস ওয়ার্কের সব ব্যাচমেটের খাতা ছিল। পরে আমাকে আমার সহপাঠীরা এসে রুপমের থেকে রক্ষা করে। স্যাররা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।'

ঘটনার পর শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তদন্তের স্বার্থে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তদন্ত কমিটি। এতে অভিযুক্ত রুপমের আরও ৭ সহপাঠী আলাদাভাবে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে তারা বলেন,' বিগত ৬ মাস সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা, বানোয়াট পোস্ট ও মন্তব্য করে নাইমকে লাঞ্চিত করেছে। আমরাও তার দ্বারা মানসিক আক্রমণ ও হুমকির শিকার হয়েছি। সে ব্যাচে অশোভনীয় ও অমার্জিত আচরণ, প্রতিনিয়ত নিজের অস্তিত্বের গুরুত্ব জানান দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম এটেনশান-সিকিং কর্মকান্ড এবং নিজের অপ্রাসঙ্গিক ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা করে। তবে সে শুরু থেকেই ব্যাচের এবং ক্যাম্পাসের কাউকে পরোয়া না করা একজন রাজনীতিতে সচেতন শিক্ষার্থী বলে দাবি করে এসেছে।' রুপমের এমন আচরণে ভীত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি তার সহপাঠীদের। এছাড়া লিখিত অভিযোগে তারা রুপমের শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুপম বলেন, 'ওইদিন ক্লাসের কাজ শেষ করে সিআর খাতা জমা নেয়। সেসময় আমার খাতাটা একটু আঙুল দিয়ে ভাজ করে রাখে। পরে সিআর অন্য আরেকজনকে সঙ্গে নিয়ে খাতা জমা দিতে স্যারের রুমের দিকে যায়। আমার খাতাটা জমা হয় কিনা সন্দেহবশত আমিও তার সঙ্গে গিয়েছিলাম। এসময় সে আমাকে নিয়ে কটুবাক্য বলে। আমাকে মারধর করতে উদ্যত হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে তার মাথায় একটা আঘাত করি। তবে ধাতব বস্তু দিয়ে আঘাতের বিষয়টি মিথ্যা।' এছাড়াও ঘটনার সত্যতার জন্য ওই কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতেও বলেন রুপম।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহমান জাহিদের কাছে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি। 

ঢাকা বিজনেস/নাজমুল/এন



আরো পড়ুন