আজ চলচ্চিত্র-নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে, ওরা ১১ জন (১৯৭২), সংগ্রাম (১৯৭৪), ভালো মানুষ (১৯৭৫), বাজিমাত (১৯৭৮), দেবদাস (১৯৮২), চন্দ্রনাথ (১৯৮৪), শুভদা (১৯৮৬), মিয়া ভাই (১৯৮৭), বেহুলা লক্ষিন্দর (১৯৮৭), বাসনা (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), হাছন রাজা (২০০১), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪), শাস্তি (২০০৪), দুই পুরুষ (২০১১), দেবদাস (২০১৩)।
চাষী নজরুল ইসলাম একুশে পদক, একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ সিনে জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, শের-ই-বাংলা স্মৃতি পুরস্কার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফেডারেশন অ্যাওয়ার্ড, সিনে ডিরেক্টরাল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, বাংলাদেশ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, স্যার জগদীশচন্দ্র বসু স্বর্ণপদক, জহির রায়হান স্বর্ণপদক, বিনোদন বিচিত্রা অ্যাওয়ার্ড, জেনেসিস নজরুল সন্মামনা পদক, তারকালোক অ্যাওয়ার্ড, সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড, ট্রাব অ্যাওয়ার্ড ও আন্তর্জাতিক কালাকার পুরস্কারসহ প্রচুর পুরস্কার-সম্মাননা পেয়েছেন।
চাষী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর। তার বাবা মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ। তিনি ভারতের বিহারে টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। চাষী নজরুলের নাম রেখেছিলেন শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক। ১৯৫৭ সালের দিকে তার বাবা মোসলেহ উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর চাকরি ছেড়ে দেশে ফেরেন তারা। এর কিছুদিন পর তার বাবা মোসলেহ উদ্দিন মারা যান।
বাবার পর বড় ছেলে হিসেবে সংসারের সব দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পড়ে। এজি অফিসে অফিসের পোস্ট-সর্টার হিসেবে ১৯৬৯ পর্যন্ত চাকরি করেছেন। এফডিসি যাত্রা তখন সবে শুরু। আউয়াল সাহেবের সিনেমায় সহকারী প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
প্রথম সিনেমায় সহকারী প্রধান হয়ে কাজ করার পর মাঝে মাঝেই আউয়াল সাহেবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। এরমধ্যেই কৃষ্টি সংঘের সঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করেন চাষী। ১৯৭১ সালে যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধশেষে বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণ করলেন। ১৯৭২-এ এই ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে চাষী নজরুলের আত্ম প্রকাশ ঘটে। এছাড়া নিয়মিত বেতারে, টিভিতে সান্ধ্যকালীন অভিনয় করতেন তিনি।
ঢাকা বিজনেস/এন/