২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



‘রেমাল’ মোকাবিলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা || ২৬ মে, ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
‘রেমাল’ মোকাবিলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম


ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর ৮১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে। রোববার (২৬ মে) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে এক জরুরি প্রস্তুতি সভায় এই ঘোষণা দেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

চসিক মেয়র বলেন, ‘সোমবার চসিকের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চসিকের ৮১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে।’

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘শনিবার সকালেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করার নির্দেশ দিয়েছি। দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগস্থ কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ-নিজ ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে তদারকি করতে নির্দেশ দিয়েছি।’

মেয়র আরও বলেন, ‘চসিকের সবগুলো বিভাগ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্রিয় আছে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টও সহযোগিতা করছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথেও যোগাযোগ করব যাতে ঝড়ে গাছ পড়লে বা দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে কোন সংস্থার গাফিলতির জন্য মানুষ কষ্ট না পায়৷’

পাহাড়ের পাদদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত মানুষকে সরিয়ে নিতে হবে৷ প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে৷’ এ সময় কাউন্সিলররা ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওয়ার্ড পর্যায়ের কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন৷ 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। এর ফলে জেটিতে থাকা সব জাহাজের লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। জেটির বড় জাহাজগুলোকে সার্বক্ষণিক ইঞ্জিন চালু রাখাসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে রোববার সকাল ১০টা থেকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।জাহাজশূন্য থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর জেটি। ক্রেনসহ সব হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট প্যাক করা হচ্ছে যাতে বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বন্দর থেকে ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। বহির্নোঙরে লাইটারিং কার্যক্রমও বন্ধ।  

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্ক সংকেতের ভিত্তিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর চ্যানেল, জাহাজ, জেটি, ইয়ার্ড, শেড, হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।

আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রামে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার  দুপুর ১২টা থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  প্রাথমিকভাবে রাত আটটা পর্যন্ত এই ঘোষণা বহাল থাকবে। বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি কমাতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এর আগে কলকাতা ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।  

 ঢাকা বিজনেস/শাহাদাত/এনই 



আরো পড়ুন