০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বুধবার



সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পর্যটক

কক্সবাজার করেসপন্ডেন্ট || ০৪ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:৪০ এএম
সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পর্যটক


সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে  সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন ৩ দুই শতাধিক পর্যটক। বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। 

মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বঙ্গোপসাগরসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে পুনরায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণে বুধবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ৪০০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছায় আউলিয়া নামের একটি জাহাজ। যারা মঙ্গলবার ফেরতে পারেনি আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা যেন সমস্যায় না পড়েন সেই ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়া ও ৩ নম্বর সর্তক সংকেত থাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পুনরায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে ৩৮০জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে গেছেন। কক্সবাজার ৩ নম্বর সর্তক সংকেত থাকায় ২৩০ জনের মত পর্যটক ওইদিন ফেরত আসলেও বাকিরা সেখানে থেকে গেছেন।’

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটন মৌসুমের সঙ্গে জাহাজ চলাচলও শুরু হয়। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত দুবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর আগে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ৭ দিনের জন্য এমভি ‘বার আওলিয়া’ নামে একটি জাহাজকে পরীক্ষামূলকভাবে ওই নৌপথে চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন