দিনাজপুরের হিলিতে খোলাবাজারে (ওএমএস) ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পেরে খুশি নিম্ন-আয়ের মানুষেরা। প্রতিদিন সকাল থেকে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে ৫ কেজি করে চাল কিনছেন। এতে তারা নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি ) খোলাবাজারে চাল কিনতে আসা মো. আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, বাজারে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নিচে কোনো চাল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই লাইনে দাঁড়িয়েছি সরকারের বেঁধে দেওয়া খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে।
আব্দুল ওয়াহেদ আরও বলেন, এই ৫ কেজি চাল বাজারে কিনতে গেলে ৩০০ থেকে ২২৫ টাকা পাওয়া যাবে না। এখানে মাত্র ১৫০ টাকা দিয়ে ৫ কেজি চাল কিনলাম। বাকি টাকা দিয়ে সবজি কেনা যাবে।
আরেক ক্রেতা মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, বাজারের চেয়ে খোলাবাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারছি। সরকার যদি সারা বছর খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি চালু রাখতো। তাহলে আমাদের মতো নিন্মআয়ের মানুষরা উপকৃত হতো।
ওএমএস ডিলার মো. লিয়াকত আলী বলেন, আমরা হাকিমপুর পৌরসভা এলাকায় দু’টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১ মেট্রিক টন করে ২ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করছি। প্রতিজন ক্রেতা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারছেন।
হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোছা. খালেদা বাবু ঢাকা বিজনেসকে বলেন, খাদ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গেলো ১৬ জানুয়ারি থেকে দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌর এলাকায় ডিলারদের মাধ্যমে দু’টি কেন্দ্রে ১ টন করে প্রতিদিন ২ টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
খালেদা বানু আরও বলেন, পৌর এলাকার প্রতিজন ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে প্রতিদিন ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি দরে চাল কিনতে পারবেন। ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহে ৫ দিন খোলাবাজারে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালু থাকবে।