নির্বাচন বানচালের কোনো উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে এমনকি বিদেশ থেকেও যদি কোনো প্রচেষ্টা নেওয়া হয়, দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে।’
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। নির্বাচন বানচালের কোনো প্রচেষ্টা নিলে জনগণ তা মানবে না। বিরোধী দলসহ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদেরকে সংকটের মুখোমুখি হতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। কারণ, বিএনপি জোট ২০১৩-১৪ সালের মতো নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে কোনো অগ্নিসংযোগ করতে পারবে না। এছাড়া, সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রথম আইন প্রণয়ণ করেছে। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছেন।’
যারা বিশৃঙ্খলা বা দেশের সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায় তাদের ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই। শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ কারও শক্তির ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আসেনি। আমি জনগণের শক্তি ও তাদের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি।’
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না। কিছু লোক আছে যারা দেশের কল্যাণ চায় না। প্রবাসীরা সচেতন থাকলে এই স্বার্থান্বেষী মহল সফল হতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারকে অস্বীকার করে যথাযথ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। সূত্র : বাসস
ঢাকা বিজনেস/এন