দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এতে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
দেশে যখনই এমন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে তখন রাষ্ট্রের ক্রীড়াঙ্গনেও বদলের হাওয়া লাগে। পূর্বেও এ রকম সময়ে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃত্ব থেকে বিদায় নিতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ অথবা সরকার নিয়োগকৃত কর্তাব্যক্তিদের।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব আসছে কারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। বিশেষ করে দেশের প্রধান দুই সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পরিচালনায় আসবেন কারা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ বাফুফে সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন কাজী সালাহউদ্দিন। তার নেতৃত্বাধীন ফেডারেশনটির নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হতে পারে আগামী ২৬ অক্টোবর। সেই নির্বাচন ফিফার নিয়মাবলি মেনেই হওয়ার কথা। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের কারও পক্ষে বাফুফের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়া সহজ হবে না। তাই নতুন নেতৃত্ব আসতে পারে বাফুফেতে।
এদিকে বিদায়ী সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। একই সঙ্গে তিনি বিসিবির সভাপতি। মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হওয়ায় পাপন আর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নেই। তবে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে সরকার নিয়োগ দেয় না। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হয় বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ। পরে নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে তাদেরই ভোটে নির্বাচিত হন বোর্ড সভাপতি। এখন দেখার পালা বিসিবির পরবর্তী দায়িত্বে কে আসেন।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে হাতে গোনা কয়েকটি ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হলেও বাকিগুলোর শীর্ষ পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ফেডারেশনগুলোর নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হলেও আদতে তা সরকারদলীয় লোকজন দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত।