২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

১৫০ তরুণ বিজ্ঞানীর অংশগ্রহণে বিইউবিটিতে রোবোটিক্স প্রতিযোগিতা

সুমাইয়া জামান বাঁধন || ০৬ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম
১৫০ তরুণ বিজ্ঞানীর অংশগ্রহণে বিইউবিটিতে রোবোটিক্স প্রতিযোগিতা


বিইউবিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বিইসি রোবো ম্যানিয়া-২০২২। গত ৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে রোবো ম্যানিয়ার উদ্বোধন করা হয়। রোবো ম্যানিয়ার আয়োজন করছে বিইউবিটি ইইই ক্লাব। সারাদেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০টি টিমের ১৫০ জন তরুণ বিজ্ঞানী তাদের রোবট নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিইউবিটিতে। 

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব জনগণের মাঝে তুলে ধরতে ম্যানিয়াতে রোবো সকার, লাইন ফলোয়ার চ্যালেঞ্জ, প্রজেক্ট শোকেজিং এই তিন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভিড় করেন ক্যাফেটেরিয়ায়।

প্রতিযোগিতায় ৭০টি টিমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, ডুয়েট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৫০ জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিইউবিটি’র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. আবু সালেহ৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আলী নুর, বিইউবিটির ট্রেজারার ও ডিন (ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড এপ্লাইড সায়েন্স) প্রফেসর ড. আলী আহমেদ। 

পুরো অনুষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, রোবো ম্যানিয়াতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের রোবট নিয়ে এসেছেন এবং তাদের রোবট কী কাজ করতে পারে তা জানাচ্ছেন দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীরাও সেসব আগ্রহ নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং শুনছেন।

দর্শনার্থী নাদিয়া তাসনিম বলেন, এটা আমাদের জন্য আসলে খুবই উৎসাহ ব্যাঞ্জক বিষয়। প্রজেক্টগুলো ঘুরে দেখে আমরা খুব আশাবাদী। আজকের তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধাকে আগামী দিনের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব তৈরিতে কাজে লাগাচ্ছে। সঙ্গে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে যে কর্মযজ্ঞ, সেটাতে তারা অংশগ্রহণ করছে। রোবট দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষিকাজ, অফিস আদালতে রোবটের ব্যবহার এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রোবট কিভাবে কাজ করতে পারে এসব তারা নিয়ে এসেছে। এগুলো খুব ইতিবাচক দিক আমাদের জন্য। এসব তরুণদের যদি বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা করে, তাদের উৎসাহ যোগায়, তাহলে এরা অনেক ভালো কাজ করবে বলে মনে করি।’

বিইউবিটির উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. আবু সালেহ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গবেষণাধর্মী শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। রোবোটিকস কম্পিটিশন এর অনন্য নিদর্শন।’ 


ইইই ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের মাঝে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যেই মূলত এই আয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে চিকিৎসা, যোগাযোগ, প্রকাশনায় শুধু নয়, একদিন মানুষ ঘরে বসে শুধু চোখে চশমা পড়ে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া আপনজনের সঙ্গেও নিত্যদিনের মতো আলাপচারিতা করতে পারবেন। ইচ্ছেমতো আনন্দ বিনোদন উপভোগ করতে পারবেন। সেদিন আর বেশিদিন দূরে নয়। সেই লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।’

প্রতিযোগিতায় রোবো সকার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সোহরাওয়ার্দী কলেজের টিম গ্লাডিয়েটর, রানারআপ হয়েছে AIUB এর টিম এইমবট। লাইন ফলোয়ার চ্যালেঞ্জে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির টিম মেট্রো রেল, রানারআপ হয়েছে ডুয়েটের টিম ডুয়েট কজেন্ট। 

প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বিজয়ী সবার হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।

ঢাকা বিজনেস/এম 



আরো পড়ুন