অনেকেই বাগান করতে খুব পছন্দ করেন। কিন্তু বর্তমানে সময়ের অভাবে ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই নিজের এই সাধটুকু পূরণ করে উঠতে পারেন না। ফলে অনেকেই এমন গাছের সন্ধান করে থাকেন, যা বীজ বপন করার ঝামেলা ছাড়াই সহজেই হয়। পাশাপাশি খুব বেশি যত্নেরও প্রয়োজন হয় না। এমন ৬টি গাছ রয়েছে, যা পাতার সাহায্যে খুব সহজেই রোপণ করা যাবে। জেনে নিন ৬টি গাছের নাম।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা গাছে প্রচুর পরিমাণে ওষধি উপাদান রয়েছে। একটি অ্যালোভেরার পাতা নিন। কিছু সময় শুকানোর জন্য ছায়ায় রাখুন। কাটা পাতার নীচের অংশ শুকিয়ে গেলে টবে রোপণ করুন। প্রতিদিন এর উপর অল্প অল্প পানি দিতে থাকুন। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন পাতা আসবে।
স্নেক প্ল্যান্ট
বায়ু পরিশোধক হিসাবে কাজ করে এই গাছটি। সহজেই পাতার মাধ্যমে এটি রোপণ করা যায়। এর জন্য স্নেক প্ল্যান্টের একটি বড় পাতা নিন। তারপর এই পাতাটিকে দুই ভাগে কেটে নিন। টবে রাখা মাটিতে রোপণ করুন। এর পর জল ছিটিয়ে দিন। নতুন স্নেক প্ল্যান্ট প্রায় এক মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে।
বেলি ফুল গাছ
সুগন্ধি সাদা ফুলের জন্য বেলি ফুলের গাছ প্রায় সবার ভাল লাগে। একটি মাঝারি আকারের টব নিন। কম্পোস্ট মিশ্রিত মাটি দিয়ে ভরাট করুন। পুরনো বেলি ফুল গাছ থেকে একটি কাটা নিন। তারপর এই কাটা টবে রোপণ করে দিন এবং তাতে পানি দিন। পাত্রটি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে গাছটি হালকা সূর্যের আলো ও বাতাস পেতে পারে। এক মাসের মধ্যে নতুন গাছ হবে।
জেড প্ল্যান্ট
জেড প্ল্যান্ট বাজারে অনেক দামে বিক্রি হয়। জেড গাছের পাতা কেটে নিন। শুকানোর জন্য রাখুন। এর পরে একটি প্রশস্ত টবে কিছু পাথর রাখুন ( টবের নীচে একটি গর্ত থাকা আবশ্যক) এবং পাত্রটি মাটি দিয়ে ভরে নিন। তারপর পাত্রে গাছের পাতায় রোপণ করে নিন। প্রতিদিন পানি দিতে থাকুন। পাশাপাশি গাছটি ছায়ায় রাখুন। প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে নতুন গাছ গজাতে শুরু করবে।
রাবার গাছ
এই গাছটি বাড়ির ভিতরে লাগানো ভালো। কারণ, রাবার গাছকে সেরা এয়ার পিউরিফায়ার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। টব মাটি দিয়ে পূরণ করে নিন। তারপর গাছের পাতাটি টবে রোপণ করুন এবং পানি ছিটিয়ে দিন। টবটিকে রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গা থেকে দূরে রাখুন যেখানে প্রচুর আলো রয়েছে। এভাবে ১৫-২০ দিনের মধ্যে গাছ বড় হতে শুরু করবে।
চাইনিজ মানি প্ল্যান্ট
গোলাকার পাতার জন্য একে কয়েন প্ল্যান্টও বলা হয়। এর পাতা মাটি বা পানিতে লাগালে শিকড় বের হবে নতুন করে। এরপর দ্রুত নতুন পাতা ছাড়তে শুরু করবে।
ঢাকা বিজনেস/এন