উপরে বিদ্যুতের তার। তারের ওপরে সারি সারি বসা কাক। নিচে খাবারের রেস্তোরাঁ। রুবেল হোটেল। কাকগুলো খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রতিদিনই সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে হোটেল মালিকের নির্দেশ অনুযায়ী পরোটা ছিড়ে দোকানের ছাদে ছিটিয়ে দেন কর্মচারী মোহাম্মদ আলী। দিনাজপুরের হিলি বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোডের চিত্র এটি।
বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ভোর থেকে কাকগুলো রুবেল হোটেলের আশেপাশের দোকানের ছাদ ও বিদ্যুতের তারে বসে খাবারের জন্য অপেক্ষা করে। তাদের খাবার ছিটিয়ে দিলে খেয়ে তারা চলে যায়।’
রুবেল হোটেলের কর্মচারী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমাদের মালিক কাকপ্রেমী। মালিকের নির্দেশে কাকগুলোকে প্রতিদিন ১০টি পরোটা ছিড়ে ছাদের ওপরে ছিঁটিয়ে দেই। ভোর থেকে কাকগুলো খাবারের জন্য কখনো বিদ্যুতের তারে আবার কখনো দোকানের ছাদে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করে। খাবারের জন্য তারা কা-কা করে চিৎকার করতে থাকে। পরোটা ছিটিয়ে দিলে খেয়ে চলে যায়। পরের দিন আবারও এসে বসে খাবারের জন্য।’
হোটেলের মালিক মো. রুবেল হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘খাদ্য সংকটে প্রাণীরা। তাই কাকগুলো প্রতিদিন ভোরে খাবারের জন্য বিদ্যুতের তারে এসে বসে থাকে। আমি কর্মচারী মোহাম্মদ আলীকে প্রতিদিন ১০টি করে পরোটা খাবার দিতে বলেছি। আর আমি ছোটবেলা থেকেই প্রাণীপ্রেমী।’
ঢাকা বিজনেস/এম