ঈদ যাত্রার শেষ দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ভোরে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ করা গেছে। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৪২ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত ছোট-বড় এসব যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সেতুর ওপর দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী ২৭ হাজার ৩৫৮টি যানবাহন যানবাহন পারাপার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫০ টাকা। এদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৭টি যানবাহন যানবাহন পারাপার হয়। আর এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার ৯০০ টাকা।
জানা যায়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি। ঈদের সময় এই মহাসড়কে সৃষ্টি হয় যানজটের। এ সড়ক দিয়ে প্রায় ২৩ থেকে ২৪টি জেলার যানবাহন চলাচল করে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৬ হাজার ২৯৬টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়। আর এতে ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ২৫০ টাকা বেশি টোল আদায় হয়েছে৷ বঙ্গবন্ধু সেতুর উভয় পাশের ২০টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে সেতুটি চালু হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করে আসছে। বর্তমানে সেতুর টোল আদায় করছে কমিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক (সিএনএস)।
নোমান/এইচ