ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে যাত্রীদের ভ্রমণকর বাবদ রাজস্ব আদায় বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গেলো জুলাই মাসে ভ্রমণকর আদায় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি। আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, স্থলপথে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম আখাউড়া স্থলবন্দর। ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে এ বন্দর দিয়ে ক্রমেই যাত্রী পারাপার বাড়ছে। মূলত বন্দর পার হলেই ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহর। আর শহর থেকে খুব কাছেই বিমানবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশন। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতে যাত্রী পারাপার বাড়ছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ভারত ভ্রমণকারী দেশি-বিদেশি যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ করবাবদ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাজস্ব এসেছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। নতুন অর্থবছরে যাত্রীপ্রতি সরকার নির্ধারিত ১ হাজার টাকা ভ্রমণ কর আদায় করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে ১৭ হাজার ৪৭ জন যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেন। এসব যাত্রীর ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি।
ভারতে প্রবেশের জন্য ইমিগ্রেশনে অপেক্ষমান ফেনির বাসিন্দা মো. আবিদ হাসান জানান, ফেনির সেঙ্গ ট্রেনে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। তাই ভারত যেতে এ পথটাই পছন্দ তার। তবে এখানে কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন বন্দরে অবকাঠামোর কিছু দুর্বলতা আছে। অবকাঠামো আরও উন্নত করা উচিত।
ভৈরবের বাসিন্দা কাজী স্বপন বলেন, আমি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি। এর আগেও একবার ভারতে গেছি। যাত্রী সংখ্যা বেশি হলেও এখানে বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ওয়াশ রুম নাই। বৃষ্টি হলে দাঁড়ানোর মতো পর্যান্ত জায়গা নাই। এছাড়া বৃষ্টি হলে পুরো এলাকা পানিতে ডুবে যায়।দ্রুত এসব সমস্যা দূর করতে হবে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ ইন্সপেক্টর হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘যাতায়াত সুবিধা ভালো থাকায় এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে পারাপার বেড়েছে কয়েক গুণ। আমাদের ইমিগ্রেশন ভবনটি পুরাতন। তবে ইতোমধ্যে ভবনের কিছু সংস্কার কাজ করা হয়েছে। আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খান বলেন, ‘আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দিন দিন যাত্রী পারাপার বাড়ছে। এর ফলে রাজস্ব বাড়ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এমএ/