২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



গরমে নাকাল হিলিবাসী, বেশি বিপাকে শ্রমিকেরা

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০১ আগস্ট, ২০২৩, ১১:০৮ এএম
গরমে নাকাল হিলিবাসী, বেশি বিপাকে শ্রমিকেরা


চলছে বর্ষা মৌসুম। শ্রাবণ মাস। বৃষ্টির দেখা মিলছে না। তার ওপর তীব্র রোদ আর গরমে নাকাল হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলির বাসিন্দারা। সকাল থেকেই তীব্র রোদের কারণে মানুষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন হিলিবন্দরের শ্রমিকেরা। গরমের কারণে কাজ করতে না পারায় পারিশ্রমিকও কম পাচ্ছেন তারা। 

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) স্থানীয় বাসিন্দাসহ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

হিলি সরকারি খাদ্যগুদামের শ্রমিক ফারুক হোসেন বলেন, ‘এমনেই গুদামের ভেতরে প্রচণ্ড গরম, আলো-বাতাস ঢোকে না। সেইসঙ্গে তীব্র রোদে প্রচণ্ড গরম। অস্থির হয়ে উঠেছি আমরা।’ 

স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বাদল বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে বেলা না ডোবা পর্যন্ত রোদ আর গরমের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষেরা। সকালের দিকে রাস্তা-ঘাটে কিছু মানুষ দেখা গেলেও দুপুরে রাস্তা-ঘাট থাকছে জনশূন্য। আর এতে চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। রোদ ও গরম উপেক্ষা করেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে।ইজিবাইক চালকেরা বাইক নিয়ে বের হলেও যাত্রী না থাকায় তারাও গাছের নিচে বাইক রেখে অবসর সময় পার করছেন।’

হিলি পানামা পোর্টের শ্রমিক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বেশি কষ্ট হচ্ছে আমাদের হিলি পানামা পোর্টের শ্রমিকদের। রোদের মধ্যে ট্রাকে মালামাল লোড-আনলোড করতে হচ্ছে। অন্য সময় কোনো শ্রমিক দল দিনে ১০টি ট্রাক লোড দিলেও এখন রোদ ও গরমের কারণে ৫টি ট্রাক লোড দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে কমে গেছে পারিশ্রমিক।’ 

হিলি সরকারি খাদ্যগুদামের লেবার সর্দার আব্দুল মোমিন বলেন, ‘প্রচণ্ড রোদ আর গরমের কারণে খাদ্যগুদামের ভেতরে শ্রমিকেরা কাজ করতে পারছেন না। এক ট্রাক লোড দেওয়ার পর বিশ্রাম নিয়ে আবার আরেক ট্রাক লোড দিচ্ছেন। এতে প্রতিদিন যেখানে ২০ ট্রাক লোড হতো। বর্তমানে গরমের কারণে শ্রমিকেরা ৮ থেকে ১০ ট্রাক লোড দিতে পারছেন।’ 

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুর জেলায় ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বৃষ্টির পানি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার কোনো সুযোগ নেই।  

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন