দিনাজপুরের হিলিস্থলবন্দর দিয়ে ঈদুল আজহার পর থেকে বেড়েছে পেঁয়াজ আমদানি। গেলো ৩ দিনে এ বন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৬৭৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানি বাড়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম। বুধবার ( ১২ জুলাই) খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৩০ টাকা ও পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ২৮ টাকায়।
হিলিবন্দরের পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা, ক্রেতাসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। মিজানুর বলেন, ‘কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম ছিল বেশি। প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার পর দাম কমেছে। আজকে বাজার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনলাম।’
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. মইনুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম উঠানামা করে। ঈদের পর পাইকারি ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজ আসায় দাম কমেছে। আজ (১২জুলাই) প্রকারভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৮ দরে কিনে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা রফিক মিয়া বলেন, ‘আমদানিকারকদের কাছ থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে ২৫ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি। এরমধ্যে আছে লেবার ও পরিবহন খরচ। সবকিছু বাদ দিয়ে কেজিতে ১ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি।’
পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, কোরবানির ঈদের পরে হিলিবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি আগের চেয়ে বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। বর্তমানে সেই সংখ্যা কয়েকগুন বেড়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ৯ জুলাই আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৩৫৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, ১০ জুলাই ৪৬ ভারতীয় ট্রাকে ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ও গতকাল ১১ জুলাই ৩০ ভারতীয় ট্রাকে ৯১২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সবমিলিয়ে গত ৩ দিনে ৪ হাজার ৬৭৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।