২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



ঝাল কমেছে শুকনো মরিচের, কেজিতে ৪০ টাকা

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
ঝাল কমেছে শুকনো মরিচের, কেজিতে ৪০ টাকা


দিনাজপুরের হিলিতে ঝাল কমেছে শুকনো মরিচের। অর্থাৎ দেশি শুকনো মরিচের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। আর ভারতীয় শুকনো মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা।  ক্রেতারা বলছেন, শুকনো মরিচের কখনো বাড়ে, কখনো কমে।  আর বিক্রেতারা বলছেন, দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শুকনো মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। যখন সরবরাহ বাড়ে তখন দাম কমে। আর সরবরাহ কমে গেলে আবার দাম বাড়ে। 

বিক্রেতারা আরও বলেন, দাম খুব বেশি বাড়ে না। কেজিতে মাত্র ১০  থেকে ২০ টাকা বাড়ে। আর ভারতীয় শুকনো মরিচের দাম নির্ভর করে আমদানির ওপর। এখানে আমাদের করার কিছুই থাকেনা।  

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)  হিলিবাজারে শুকনো মরিচ কিনতে আসা আব্দুল জব্বারের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি শুকনো মরিচ কিনেছি ৩৬০ টাকায়। আর আজ কিনলাম ৩৪০ টাকা কেজি দরে। ৩০০ টাকার নিচে নামলে সাধারণ মানুষদের জন্য সুবিধা হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘সামনে রমজান মাস। শুকনো মরিচসহ সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো উচিত।’ 

প্রায় একই অভিমত জানালেন আরেক ক্রেতা শামসুল হক। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ভারতীয় শুকনো মরিচ ৪৪০ টাকায় কিনেছি। আর আজ কিনলাম ৪০০ টাকা কেজি দরে। আসলে শুকনো মরিচের দাম বোঝা মুশকিল। কখন যে বাড়ে, আর কখন যে কমে, তা বিক্রেতারাই ভালো বলতে পারবেন।’ 

শুকনো মরিচ বিক্রেতা মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা তো আর ইচ্ছে করে দাম বাড়াই না। বাজারে যখন যে দাম চলে, তার চেয়ে কেজিতে দশ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। সরবরাহ কমে গেলে আমাদের কী করার আছে? যখন সরবরাহ বাড়ে, তখন তো দাম কমে।’ 

মোকাররম হোসেন আরও বলেন, ‘ভারতীয় শুকনো মরিচের দাম নির্ভর করে আমদানির ওপর। আমদানিকারকরা যখন বেশি শুকনো মরিচ আমদানি করেন, তখন বাজারে সরবরাহ বেড়ে যায়। কমে যায় দাম। আগে ভারতের শুকনো মরিচ ৪২০ টাকা কেজি দরে কিনে ৪৪০ টাকায় বিক্রি করেছি । আর গতকাল প্রতিকেজি ভারতীয় শুকনো মরিচ ৩৮০ টাকায় কিনে আজ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন