২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের

সনতচক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর || ২০ মে, ২০২৩, ০৪:৩৫ এএম
গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের


ভ্যাপসা গরমে ফরিদপুরে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে। একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিক্রি হওয়া রসালো এই ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। কচি তালের শাঁস ও পাকা তাল এই অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। 

জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এক কুড়ি (২০) তালের শাঁসের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা আর এক কুড়ি আস্ত তাল ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। 

ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, এ ফল কেউ কিনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন, কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। এসব দোকানে ছোট-বড় সব শ্রেণিপেশার মানুষ শাঁস কিনতে ভিড় করছেন। বিশেষ করে স্থানীয় বাজারগুলোতে তালের শাঁস খুঁজতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। তবে একসময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার পাশে কিংবা বসতবাড়িতে অসংখ্য তাল গাছের দেখা মিলতো। কালের বিবর্তনে দিন দিন গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এসব তাল গাছ বিলুপ্তির পথে। 

মধুখালী উপজেলায় রেললাইন গেটের সামনে কথা হয় তাল বিক্রেতা সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে প্রিয় তালের শাস। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি কিনে খান। দামেও বেশ কম। তাই বাজারে এর কদরও বেশি। পাড়া-মহল্লায় ভ্যানে নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করি।’

ক্রেতা মতিয়ার রহমান  বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে তাল শাঁস কিনে খাই। নরম শাঁস খেতে অনেক ভালো লাগে। ছেলে-মেয়েরা তালের শাঁস খেতে চাওয়ায় তাই কিনছি। প্রতিটি তালের শাঁস ১০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই কিনে বাড়িতে নিয়ে যাই।’

এদিকে, গাছের মালিকরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গাছে ফলের সংখ্যা কমে গেছে। তাই তালের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। তবে নতুন গাছগুলো বড় হলে এবং ফলন ধরলে এ মৌসুমি ফলের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন