দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। যে পেঁয়াজ গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর আজ (১৮ মে) সেই পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। ক্রেতারা বলছেন, এভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে আর কয়েকদিন পর হয়তো সেঞ্চুরিতে গিয়ে ঠেকবে।
এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কমসহ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা করে বাড়ছে। আমরা যে দামে কিনছি তার থেকে দুই’তিন টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সরেজমিনে হিলি বাজারে পেঁয়াজ ক্রেতা বিক্রেতরাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলি পেঁয়াজ বাজারে কথা হয়, উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রশিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৬০ টাকা কেজি দরে। আর আজ বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনলাম খুচরা ৮০ টাকা করে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে এসে ৫০০ গ্রাম কিনলাম।’
আরেক পেঁয়াজ ক্রেতা স্টেশন রোডের আব্দুস সবুর বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। এভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের চলা দুষ্কর হয়ে পড়বে। আর কয়েকদিন পরতো পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হবে বলে মনে হচ্চে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়া দরকার। ভারতীয় পেঁয়াজ আসলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষ হয়তো একটু কম দামে কিনতে পারবে।’
হিলি বাজারের খুরচা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি ৭৫ টাকা কিনে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। কিনতেইতো দাম বেশি। আমাদের কী করার আছে। আমরাতো কেজিতে ৫ টাকা লাভ করছি। কারণ অনেক সময় পেঁয়াজ শুকিয়ে ওজনে কমে যায়। আবার পচে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কেজিতে ৫ টাকা লাভ ধরে রাখতে হয়।’
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেত মো. ফেরদৌস রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘গত ১৫ মে থেকে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে। বাজারে এখন সব দেশি পেঁয়াজ। বাজারে সরবরাহ কম। গৃহস্থরা ৭০ থেকে ৭২ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি করছে না। তাই আমরা ওই দামেই কিনতে বাধ্য হচ্ছি। গৃহস্থদের কাছ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে কিনে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা অনুয়ারী ভারত থেকে যদি দু’এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়, তাহলে পেঁয়াজের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ