দিনাজপুরের হিলিতে ঈদের পরদিনই বাড়লো শসা ও লেবুর দাম। ঈদের আগে প্রতিকেজি শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ঈদের পরদিন রোববার (২৩ এপ্রিল) বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। আর প্রতি হালি (৪টি) লেবু ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তাই শসা ও লেবুর দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি হলেও প্রয়োজন হওয়ায় তারা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। রোববার (২৩ এপ্রিল) হিলি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলি কাঁচা বাজারে শসা কিনতে আসা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঈদের পরের দিন বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে এসেছে। তাই মাছ, মাংসের পাশাপাশি খাবারের তালিকায় সবাই কমবেশি শসা রাখে। তাই হয়তো শসার চাহিদা বেড়েছে। ঈদের আগে ১৫ রোজা পর্যন্ত প্রতিকেজি শসা ৪০ টাকা দরে কিনেছি। ২০ রোজার পরে বেড়ে হয় প্রতিকেজি ৬০ টাকা। আর ঈদের পরের দিন কিনলাম ৮০ টাকা কেজি দরে।’
কথা হয় লেবু কিনতে আসা মো. মন্টু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিনে সাধারণত সবাই মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করেন। আর ঈদের পরের দিন বেড়াতে আসা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজেদের জন্য বিরিয়ানি, মাংসসহ সাধ্যমতো খাবার তৈরি করে। এই খাবারের তালিকাতেও অনেকে লেবুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ঈদের আগে প্রতিহালি লেবু ২০ টাকা দরে কিনেছি। আর রোববার প্রতিহালি লেবু কিনতে হলো ৩০ টাকা দরে।’
হিলি বাজারের শসা ও লেবু বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, ‘প্রতিবছরই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার পরে শসা ও লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু সরবরাহ কম থাকে। পাইকারি শসা ও লেবু সরবরাহকারীরা ঈদের পরে হয়তো আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তাই বাজারে কমে যায় শসা ও লেবুর সরবরাহ। আর সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে পণ্য দুটির। বেশি দামে কিনতে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/