২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

রোজায় পেঁয়াজ ‘ঘাটতির শঙ্কা নেই’

মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান || ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১১:৩২ পিএম
রোজায় পেঁয়াজ ‘ঘাটতির শঙ্কা নেই’


এবার রোজায় দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি দেওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বর্তমানে বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। আর রোজায় যেন ঘাটতি না হয়, সেজন্য  প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ ও ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, বিশ্বব্যাপী পেঁয়াজের সংকট দেখা দিতে পারে। মূল্য বেড়ে তা হতে পারে গগনচুম্বীও। তবে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন দেশের বাজার-বিশ্লেষকরা।  

বাজার-সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে এই মুহূর্তে মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম চলছে। কিছু দিন পরই জমি থেকে হালি পেঁয়াজ উঠানো শেষ হবে। গেলো দুই বছর ধরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। এবার পেঁয়াজ আমদানিরও প্রয়োজন হবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ৩ বছর আগে রোজার মাসে সংকট দেখিয়ে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। তখন বাংলাদেশে  দাম উঠে যায় ২০০ টাকার ওপরে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে গেলো  ২ বছরে দেশে চাষিরা পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়িয়েছেন। 

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) হুমায়ুন কবির ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা অনেক মহল থেকে শুনতে পাচ্ছি, এবারের রমজানে পেঁয়াজের ঘাটতি হবে না। এটা খুশির খবর। আমরাও চাই শুধু পেঁয়াজ নয়, কোনো পণ্যেরই যেন ঘাটতি না হয়।’

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম শাহিন পারভেজ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেবে, এ রকম কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। টিসিবি’র পেঁয়াজ কেনার কোনো পরিকল্পনা নেই। সরকারের পক্ষ থেকেও আমাদের বলা হয়নি যে, পেঁয়াজ দিতে হবে। গত দুই বছর আগে বাজারে পেঁয়াজের ক্রাইসিস দেখা দিয়েছিল। তখন পেঁয়াজ সাধারণ জনগণকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবারের রোজায় পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি থাকবে না। তবে যদি পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়, তখন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী টিসিবি পদক্ষেপ নেবে।’  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (সম্প্রসারণ ও কো-অর্ডিনেশন) মো. রেজাউল করিম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘এবারের রমজানে পেঁয়াজের সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ এখন তো মার্কেটে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছেই। বর্তমানে ২ দশমিক ৪০ লাখ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এই পেঁয়াজ প্রতিনিয়তই তোলা হচ্ছে। এপ্রিলে জমি থেকে এই পেঁয়াজ উঠানো শেষ হবে।  সারাবছর এই পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হবে। বর্তমানে আমরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ ব্যবহার করছি। এরপর হালি পেঁয়াজ সারাবছর সংরক্ষণ করা হবে। পেঁয়াজ আমদানিরও প্রয়োজন নেই।’

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মফিদুল ইসলাম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘এবার পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো। এই মৌসুমে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চর এলাকায় ফরিদপুর, উত্তরবঙ্গের এলাকাগুলোতে পেঁয়াজ চাষ বেশি হয়। এবারও ওই সব এলাকায় বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। আর পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য।  এবার যা পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে,  সেগুলো ভ ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে ঘাটতি দেখা দেবে না।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন