২৯ জুন ২০২৪, শনিবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

‘২০৪১ এর আগেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছাবে বাংলাদেশ’

স্টাফ রিপোর্টার || ১৪ মার্চ, ২০২৩, ০৩:৩৩ এএম
‘২০৪১ এর আগেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছাবে বাংলাদেশ’


ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‌‘বিশ্বের সবচেয়ে বিনিয়োগের উপযোগী জায়গা বাংলাদেশ। এ দেশে বি‌নিয়োগ কর‌লে সফল হ‌বে। এটা বু‌ঝেই বি‌ভিন্ন দে‌শের মন্ত্রী, সরকা‌রের প্র‌তি‌নি‌ধি, ব্যবসায়ী উদ্যক্তারা বিজ‌নেস সা‌মি‌টে এসেছেন। এসব উদ্যাক্তা‌দের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত র‌য়ে‌ছে। এগুলোর কর্মযজ্ঞ চালু হলে ২০৪১ নয়, তার আগেই আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে যাবো।’

সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি ব‌লেন, ‘গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট এবং নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের অর্থনীতি ৪৭০ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। এখন সরকার ব্যবসাবান্ধব। পদ্মা সেতু চালু ক‌রেছে। বিভিন্ন বড় বড় অবকাঠামোর কাজ চলছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞ ব‌লে দেয় ২০৪১ সালে এক ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে নয়, সা‌ড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলা‌রের বে‌শি হবে, এমন পরিসংখ্যান উঠেছে।’

দে‌শের ব্যবসায়ী‌দের শীর্ষ এ নেতা ব‌লেন, ‘বাংলা‌দেশ এখন ৯ম ভোক্তার বাজার। এখা‌নে ১৭ কো‌টি মানুষ র‌য়ে‌ছে‌। যার ৬৮ শতাংশ জনশক্তি কর্মক্ষম। এখানে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। কারণ আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছি। এখানে ভোক্তা বাজার আছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত-ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। এটি বুঝেই দ‌ক্ষিণ কোরিয়া-জাপানসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগ শুরু করেছে। তারা বুঝেছে এখানে বিনিয়োগ করলে সফল হবেই।’

বিজনেস সামিট প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘এই প্রথম বাংলাদেশ বিজনেস সামিট করেছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছু ভুল ত্রুটি হলেও সফলতাই বেশি। সফল হওয়ার অন্যতম কারণ ৮৯৬ জন সা‌মি‌টে অংশ নি‌তে রে‌জিস্ট্রেশন ক‌রে‌ছে। ৩০০’র বে‌শি বি‌দে‌শি এসে‌ছে। সা‌মি‌টে প্র‌তি‌টি সেশন ছিল প্রাণবন্ত। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা আগ্রহ নিয়ে সেশনগুলোতে অংশ নিয়েছেন। এরইমধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে চারটি ব্যবসায়িক চুক্তি হ‌য়েছে। সৌ‌দি আরব বি‌নি‌য়োগ কর‌বে বলে জা‌নি‌য়ে‌ছে। আরও কয়েকটি দেশের ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই সা‌মি‌টের উদ্দেশ্য ছিল ব্র্যা‌ন্ডিং করা ও দে‌শের সক্ষমতা তু‌লে ধরা, এতে আমরা সফল হয়েছি।’

তি‌নি জানান, ব্যবসা সম্মেল‌নের বি‌ভিন্ন সেশনগু‌লো‌তে বেশ কিছু ব্যবসার চ্যালেঞ্জ প্রতিবন্ধকতার কথা উঠে এসেছে। প্রতিটি সেশনের তথ্য বি‌শ্লেষণ ক‌রে সরকারের কাছে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে। আশা করা হচ্ছে সরকার সব ধরনের সহায়তা কর‌বে।

এফ‌বি‌সি‌সিআই সভাপ‌তি ব‌লেন, ‘সা‌মি‌টে কৃষি প‌ণ্যের ওপর বে‌শি জোর দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। এ খাতের প্রসা‌রে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ আছে। কীভা‌বে কৃ‌ষি পণ্য‌কে আরও বহুমুখী ক‌রে রপ্তা‌নির বাজার সম্প্রসারণ করা যায় এ বিষ‌য়ে গুরুত্ব দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর, এম এ মোমেন, আমীন হেলালী, হাবিবুল্লাহ ডন এবং এম এ রাজ্জাক খান রাজ এবং বাংলাদেশ পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ড. মাসরুর রিয়াজ।

উল্লেখ্য, এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিজনেস সামিটের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। গত শনিবার (১১ মার্চ) সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ১৭টি দেশের ৩০০টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।

টি/এম



আরো পড়ুন