২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



হিলিতে বন্দর শ্রমিকদের জন্য রাতের বাজার

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৩২ পিএম
হিলিতে বন্দর শ্রমিকদের জন্য রাতের বাজার


দিনাজপুরের হিলি স্থলব্দরের শ্রমিকদের জন্য চারমাথা মোড়সহ পানামা পোর্ট গেটের সামনে প্রতিদিন রাতে বসছে সবজির বাজার। সারাদিন কাজ শেষে মজুরি পাওয়ার পর শ্রমিকেরা এই বাজার থেকে নিত্যপণ্যসহ শাক-সজবি কিনে নিয়ে যান। বিক্রেতারা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে বসে বাজার। চলে রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। 

ক্রেতারা জানান, সকালে এসে কাজে যোগ দেন। কাজ শেষে রাতে মজুরি পেয়ে পরের দিনের জন্য বাজার করে নিয়ে যান তারা। 

কথা হয় বন্দর শ্রমিক আব্দুল লতিফের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‌‘প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে কাজের জন্য বন্দরে প্রবেশ করতে হয়। সকালে বাজার করার মতো সময় থাকে না। তাই রাতে কাজ শেষ করে মজুরি পাওয়ার পর এই বাজার থেকে বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় সবজি কিনে নিয়ে যাই।’  

তিনি আরও বলেন, ‘বন্দরের প্রায় শ্রমিক বাজার থেকে সবজি কিনে জীবিকা নির্বাহ করেন। রাতে বাজার বসায় শ্রমিকদের অনেক সুবিধা হয়। বাজার করে বাড়িতে গেলে পরের দিন দুপুরের খাবার টিফিন বক্সে করে নিয়ে আসা যায়। আর রাতের খাবার বাড়িতে গিয়ে খাওয়া যায়।’

 পান দোকানদার হাবিব বলেন, ‘বন্দরের শ্রমিকরাতো একবার বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করলে বাহির হওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই তারা কাজ শেষে এই বাজার থেকে কেনাকাটা করেন। এতে চারমাথা মোড়সহ পানামা পোর্ট সংলগ্ন এলাকা রাত ১২টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে। পাশাপাশি আমাদের পান-সিগারেটের দোকানগুলোতে বেচাবিক্রি বাড়ে।’ 

হিলি চারমাথা মোড়ের সবজি বিক্রেতা জালালপুর গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি সন্ধ্যার পর থেকে ভ্যানের ওপর তরিতরকারির পসরা সাজিয়ে বসে থাকি। অনেক চাকরিজীবী অফিস শেষে বাজার করে নিয়ে যান। আবার বন্দর শ্রমিকদের জন্য রাত ১০টা থেকে ১১ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বেচাবিক্রিও মোটামোটি ভালো হয়।’ 

আব্দুল গাফ্ফার আরও বলেন, ‘মূলত বন্দর শ্রমিক আর চাকরিজীবীদের উপর নির্ভর করেই চলে আমার দোকান। এখানে আমার মতো আরও অনেকে রাতে সবজির দোকান নিয়ে বসে থাকেন। বন্দরের কাজ শেষ হলে আমার এলাকার শ্রমিকদের সঙ্গে আমি বাড়ি যাই। সারাদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে তরিতরকারি সংগ্রহ করে আবার সন্ধ্যায় দোকান নিয়ে বসি চারমাথা মোড়ে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন