১৯ মে ২০২৪, রবিবার



লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত

তাফহীমুল আনাম, কক্সবাজার || ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৩২ এএম
লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত


বিদায় নিয়েছে শীত। প্রকৃতিতে চলছে বসন্ত। শীত-গরমের মাঝামাঝি আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাড়ছে পর্যটক। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও ১৮ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রীব্রত, ১৯ ফেব্রুয়ারি শব-ই-মেরাজ এবং একদিন পরেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পর্যটকে ভরপুর সৈকত। বর্তমানে লাখের অধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে সৈকতে। আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উল্লাসে মেতেছেন। অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসাচ্ছেন। অনেকে আবার চেয়ারে বসে উপভোগ করছেন তীরে আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউ। 

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিকে ঘিরে কক্সবাজার সৈকতে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজারে কোনো হোটেল-মোটেল খালি থাকবে না বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। এই পাঁচ দিনে গড়ে তিন লাখ পর্যটক থাকবে কক্সবাজারে। ফলে এ পাঁচ দিনে পর্যটন খাতে কম করে হলেও ২৫০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হতে পারে। দশ লাখ পর্যটক প্রতিজন মাত্র ১২ হাজার টাকা ব্যয় করলেও দিন শেষে পাঁচ দিনে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। কোনো কোনো পর্যটক দৈনিক ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে থাকেন।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও ইনানী, হিমছড়ি, পাটোয়ারটেক, সেন্টমার্টিন, রামু বৌদ্ধমন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কসহ পার্শ্ববর্তী পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে আসতে মাথা পিছু ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হবে।

অর্থনীতিবিদ প্রফেসার সুকুমার দত্তের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পর্যটকেরা এখানে দু’হাত খুলে খরচ করে দেখতে চান নৈসর্গিক সৌন্দর্য। আর চান নিরাপদ পরিবেশ।

পর্যটক আবির হোসেন বক্কর বলেন, আমি চিটাগাং থেকে কক্সবাজার এসেছি। আসার সময়ও রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েছি। আবার এখানে এসে দেখছি কোনো হোটেলে রুম নেই। 

ঢাকার উত্তরার ইয়ামিন আক্তার ইতি বলেন, সকালে বাস থেকে সুগন্ধা বিচে নেমেছি। এরপর শাম্পা নামক একটি রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করেছি। এরপর রুম খুঁজতে গিয়ে দেখি কোথায়ও রুম খালি নেই। অনেক খোঁজাখুজির পর কলাতলীতে একটি অভিজাত হোটেলে রুম পেয়ে যাই, আমরা ছিলাম ১৬ জন কিন্তু রুম পাওয়া গেল মাত্র ৪টা।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজারের সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমানে লাখের অধিক বেশি পর্যটক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোয় তাদের সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।

কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের সভাপতি মুখিম খাঁন বলেন, আমরা মৌসুমের শেষপ্রান্তে চলে এসেছি, এ সময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকলে সাপ্তাহিক, ঐচ্ছিক ও সরকারি ছুটি না থাকলেও মোটামুটি পর্যটক থাকে আশানুরূপ। তবে এ বছর এ সময়ে অন্যান্য যেকোনো বছরের তুলনায় পর্যটক বেশি।এতে আমরা সন্তুষ্ট। একদিকে সেবা দিতে পারছি, অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা মাঠে আছি। যেখানে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে অভিযান চলমান রয়েছে। সব মিলিয়ে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত। 

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন