গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিগন্তজুড়ে ফসলের মাঠ। নজর কাড়ছে কৃষক-শ্রমিকের ব্যস্ততা। মনের আনন্দে তারা খুঁড়ছেন মাটি-বালু। বেরিয়ে আসছে লম্বা-মোটা মিষ্টি আলু। ফলনও হয়েছে বাম্পার। দামও রয়েছে ভালো। চাষিরা বলছেন, এই মাটি-বালুর নিচে লুকিয়ে থাকা মিষ্টি আলু যেন গুপ্তধন। সেই গুপ্তধনের সন্ধানে তারা উদয়াস্ত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
চাষি ও কৃষি অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নদীর তীরবর্তী এলাকার চরবালুয়া, বড়দহ, বোচাদহসহ বেশ কিছু এলাকায় চলতি রবি মৌসুমে ১০০ হেক্টর জমিতে কোকি-৪০ জাতের মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি মিষ্টি আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে ক্ষেতজুড়ে চলছে মিষ্টি আলু তোলার উৎসব। রোদের তেজ উপেক্ষা করে কোদাল দিয়ে মাটি-বালু আলগা করে বের করা হচ্ছে হাইব্রিড জাতের এই আলু।
কৃষি অধিদপ্তর-সূত্র বলছে, এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এই উপজেলায় ৪ হাজার মেট্রিক টন মিষ্টি আলু উৎপাদন হতে পারে। এই আলু স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করবেন কৃষকরা। এই থেকে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
কৃষক গোলাপী বেগম বলেন, ‘গত বছর এই আলু চাষ করে অনেক লাভ হয়েছে। চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছি। এবার প্রায় ৮০ মণ আলু পেতে পারি।’
আলম মিয়া বলেন, ‘অল্প খরচে মিষ্টি আলু চাষ করে বেশি লাভ করা সম্ভব। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ আলু ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, ‘দেশ-বিদেশে কোকি-৪০ জাতের মিষ্টি আলুর অনেক চাহিদা। আলু চাষিদের লাভবান করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/