২১ শতকের আগেই আবিষ্কার হয়েছে ইন্টারনেট। তবে, বিশ্বব্যাপী এই সেবা বিস্তার লাভ করেছে এই শতকের শুরুতে। বর্তমানে অফিস-আদালত ও বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান লিখিতভাবে তথ্য সংরক্ষণের চেয়ে ইন্টারনেট মাধ্যমে রাখতে বেশি সহজ বলে মনে করেন। এই ধারণাটা বেশি কার্যকর হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ার আবিষ্কারের মধ্যদিয়ে। এতে তথ্য সংরক্ষণ সহজ হয়েছে ঠিকই কিন্তু সুরক্ষা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তাই প্রতিবছরই বিশ্বব্যাপী ডাটা চুরির মহোৎসব চলে। ডাটা চুরি যাতে কমিয়ে আনা যায়, এজন্য ভাবছে সংশ্লিষ্টরা।
গিজচায়নার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২১ শতকে ডেটা সুরক্ষার বিষয়টি সমস্ত সংস্থার চিন্তা করা উচিত৷ টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য চুরি হয়। তবে, চুরি যাওয়া অনেক তথ্যই রিকভার করা যায়। হারানোর তথ্যের সংখ্যাটাও বিশাল।
বিগত ৬ বছর ধরে বিশ্বে সাইবার আক্রমণে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ডেটা চুরি বেড়েছে। তবে, ২০২২ সালে এই অপরাধ কিছুটা কমলেও সামগ্রিকভাবে ৪২২ মিলিয়নেরও (৪২ কোটি ২০ লাখ) বেশি ব্যবহারকারী ডাটা চুরি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসলে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি। এদিকে, অনেক ভুক্তভোগী তাদের ডেটা চুরি গেলেও সঠিক তথ্য দেয় না। বিশেষ করে অনেক প্রযুক্তি কোম্পানি অনেক বিবরণ প্রকাশ করে না। মাত্র ৩৪ শতাংশ বিস্তারিতভাবে আক্রমণের রিপোর্ট করে। লুকোচুরির কারণে ডাটা সুরক্ষায় সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ফলে, হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার আরও বেশি সুযোগ পায়।
তথ্য চুরির ভুক্তভোগীদের মধ্যে অর্ধেকই টুইটারের ব্যবহারকারী। ২০২২ সালে ২২ কোটি ১০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি হয়েছে। অন্য পাঁচটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নিওপেটস, এটিঅ্যান্ডটি, ক্যাশ অ্যাপ ও বিটল আই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেসব তথ্য চুরি করা হয় সেগুলোর মধ্যে ব্যবহারকারীর নাম ও সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর রয়েছে। কিছু সময় ব্যক্তি শনাক্তকরণ তথ্যও চুরি হয়। এ ধরনের তথ্যের বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে হবে।
বলা যায়, এই প্রবণতাটি চলতি বছর ২০২৩ সালে অব্যাহত থাকবে। তাই ডাটা সংরক্ষণে বাণিজ্যিক ফার্মগুলোর ওপর নির্ভর না করে নিজেদেরই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এর জন্য, টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) ব্যবহার করা যেতে পারে, অথবা শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখা যেতে পারে।
ঢাকা বিজনেস/এইচ