২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



বৃষ্টিতে হিলিবন্দরে রাস্তায় কাদা-পানিতে একাকার

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ০৫ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
বৃষ্টিতে হিলিবন্দরে রাস্তায় কাদা-পানিতে একাকার


দুই দিনের বৃষ্টির পানিতে ভাঙাচোরা রাস্তার গর্তে পানি জমে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কাদা-পানিতে একাকার হয়ে পড়েছে সড়কগুলো। ফলে যেমন বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ, তেমনি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহনও। এতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। 

তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ইতোমধ্যে রাস্তার দু’পাশের জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দাখিল করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ হিলি বন্দরের রাস্তা সংস্কারের শুরু করবে। 

এলাকাবাসী মো. জামান হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট থেকে বাসস্ট্যান্ড, রাজধানী মোড়, সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চেকপোস্ট এবং পালপাড়া রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে কয়েক বছর আগেই। এরপর প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই ঝুঁকিপূর্ণ এসব রাস্তায় মাঝে-মধ্যে ইট আর বালু ফেলে জোড়াতালি দিয়ে চলাচলে প্রস্তুত করা হয়।’

ট্রাক চালক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘হিলিবন্দরের সড়কগুলো আমদানি করা পাথর ও বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচলের মোটেও উপযোগী নয়। গাড়ির স্ট্যায়েরিং ধরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে বিপজ্জনক হয়ে থাকা এসব রাস্তার ছোট-বড় গর্তে আটকে পড়ছে আমদানি-রপ্তানি পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক, নষ্ট হচ্ছে ট্রাকের যন্ত্রাংশ। প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও।’ 

পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিডেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, ‘সরকার এই বন্দর থেকে প্রতি অর্থ বছরে দুই শত কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে থাকে। কিন্তু নতুন করে রাস্তার কাজ করা হয়নি। এরফলে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, যাবাহনসহ পাথচারীদের।’

দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল আজিজ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে রাস্তার দু’পাশের জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দাখিল করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ হিলি বন্দরের রাস্তা সংস্কারের শুরু করবে।’  




আরো পড়ুন