ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। এরমধ্যে প্রচণ্ড খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তাই ঈদের কেনাকাটা করতে স্থানীয় ক্রেতারা ইফতারের পরেই চাপছেন বাজারের দিকে। সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারের পর ঠাণ্ডা মেজাজে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। দোকানদাররা বলছেন, দিনের বেলা বাইরের লোকজন কেনাকাটা করতে আসলেও স্থানীয়রা করছেন ইফতারের পরে।
হিলি বাজারের লাবন্য ফ্যাশনে রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর পরিবারের জন্য কাপড় কিনতে এসেছিলেন স্থানীয় ক্রেতা আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘একেতো রমজান মাস। তার সঙ্গে টানা কয়েকদিনের প্রচণ্ড রোদের কারণে বাড়ি থেকে বের হওয়াই দায়। তাই ইফতারের পর পরিবার নিয়ে ঈদের পোশাক কিনতে এসেছি। দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে কিনবো।’
আরেক ক্রেতা মোছা. জুলেখা বেগম বলেন, ‘রোজার মাসে বাড়ির কাজ শেষ করতে দুপুর হয়ে যায়। বাজারে এসে ঈদের কেনাকাটা করার মতো আর মানসিকতা থাকে না। তাই সন্ধ্যার পর ইফতার সেরে পরিবারের সবার জন্য কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স কিনতে এসেছি। বাজারের কাছাকাছি বাড়ি, তাই রাত হলেও সমস্যা হয় না। আজ কিনতে না পারলে আবার কাল বাজারে আসবো।’
জামান গার্মেন্টসের মালিক মো. নুরুজ্জামান হোসেন বলেন, ‘দিনের বেলা বাহির থেকে ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন। তারা বিকালের মধ্যেই ফিরে যান। আর স্থানীয় ক্রেতারা সন্ধ্যার পর ইফতার করে কেনাকাটা করতে আসেন। বেচাবিক্রি মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি আছে। চাপ আরও বাড়তে পারে।’
তোয়া কসমেটিক্সের স্বত্বাধিকারী মো. তৌহিদ বলেন, ‘হিলিতে বাইরের ক্রেতাদের সমাগমও বেশি হয়। দিনাজপুর, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসেন হিলিতে ঈদের বাজার করতে। তারা বেলা ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরে যান। আর স্থানীয় ক্রেতারা বাজারে আসেন সন্ধ্যার পর। তারা সন্ধ্যা থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত কেনাকাটা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কেটে বিক্রির চেয়ে ক্রেতা সংখ্যায় বেশি। তারা এ দোকান সে দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাক, কসমেটিক্সসামগ্রী কেনাকাটা করেন।’
হিলি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরমান আলী ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ক্রেতাদের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমিতি ক্রেতাদের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে আছে।’
বুলু/এইচ