২৬ জুন ২০২৪, বুধবার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণের পর থেকে প্রথম বর্ষ ভর্তিতে শিক্ষার্থী সংকটসহ নানা জটিলতার কারণে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই পদ্ধতিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসলে আগের মতো নিজস্ব ভর্তি ব্যবস্থাপনায় ফিরবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।’
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা হয়েছে।
সভাপতি বলেন, ‘সভায় গুচ্ছ পদ্ধতির বিরুদ্ধে সদস্যরা এ বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। তবে, গুচ্ছের বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এদিকে, ১১টি মেধাতালিকা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার চেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বেশি। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল তা সফল হয়নি। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাবো। ভোগান্তি নয় বরং সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হোক এটাই আমাদের চাওয়া।’
অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় গত বছরের মতো এবছরও বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থী সংকটে পড়তে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। এসব বিষয় বিবেচনা করে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার মত দিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। যত দ্রুত সম্ভব আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত চিঠির মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাবো।’
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকদের নিয়েই তো বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। সর্ব সম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত হবে। শিক্ষক সমিতির নেওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এখন লিখিত কিছু পাইনি।’
ইমন/এম
