২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার



দুয়ারে ঈদ, দাম বাড়লো এলাচের

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১১ জুন, ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
দুয়ারে ঈদ, দাম বাড়লো এলাচের


পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র ৬ দিন বাকি। এরই মধ্যে আরেক দফা বেড়েছে সাদা এলাচের দাম। প্রতিকেজি সাদা এলাচের দাম বেড়েছে মানভেদে ২০০ টাকা করে।  একসপ্তাহ আগে মঙ্গলবার (৪ জুন)  ৩ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হওয়া সাদা এলাচ  মঙ্গলবার (১১ জুন) বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে। আর ৩ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরের সাদা এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা দরে। ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির ঈদে গরম মসলা চাহিদা বাড়ে। এই সুযোগে আমদানিকারকসহ বিক্রেতরা কেজিতে সাদা এলাচের দাম ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন।  বিক্রেতারা বলছেন, এলাচসহ অনেক মসলাই ভারত থেকে আসে। এখন আমদানিকারকদের কাছ থেকে কেজিতে ১৫০ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।  ৫০ টাকা লাভ  রেখে বিক্রি করছেন তারা।

হিলিতে মসলা কিনতে আসা মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আমি প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে হিলিতে মসলা কিনতে আসি। এবারও পলাশবাড়ি থেকে মসলা কিনতে এসেছি। কিন্তু এবছর মসলার দাম অন্য বারের চেয়ে বেশি।’ 

গোলাম মোর্শেদ আরও বলেন, ‘একসপ্তাহ আগে আমার এক আত্মীয় প্রতিকেজি ভালো সাইজের সাদা এলাচ ৩ হাজার ২০০ থেকে  কেজি দরে কিনে নিয়ে গেছেন। আর আজ আমি এসে দেখছি, ওই সাইজের এলাচের দাম হাঁকছেন ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি ।’

আরেক ক্রেতা মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘আমি দিনাজপুর থেকে মসলা কিনতে এসেছি। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের সময় মসলা কিনতে হিলিতে আসি। তবে গেলো বারের চেয়ে জিরার দাম অনেক কমেছে। গত বছর ১হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে জিরা কিনেছি। আর এবার মানভেদে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সাদা এলাচের দাম গেলো বারের চেয়ে অনেক বেশি। তারপরও যখন হিলিতে এসেছি কমবেশি করে কিনতে হবে।’

হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা মো. মোকরাম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা খুচরা বিক্রেতা। আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রি করি। সাদা এলাচ ছাড়া অন্যান্য মসলার দাম গত এক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত আছে। তবে সাদা এলাচের দাম কেজিতে ২০০ টাকা বেড়েছে। ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরের (সাইজে একটু ছোট) সাদা এলাচ এখন বিক্রি করছি ৩ হাজার ৪০০ টাকা দরে। আর ৩ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরের (সাইজে একটু বড়) সাদা এলাচ বিক্রি করছি ৩ হাজার ৬০০ টাকায়।  

মোকারম হোসেন আরও বলেন, ‘সাদা এলাচসহ ভারত থেকে আমদানি করা মসলা আমদানিকারকেরা যে দামে বিক্রি করেন, আমরা সেই দামে কিনতে বাধ্য হই। তার চেয়ে কেজিতে ৫০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।’ 



আরো পড়ুন