২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



লাইফ স্টাইল
প্রিন্ট

লিচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২৯ মে, ২০২৪, ০১:০৫ পিএম
লিচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা


মৌসুমী ফল লিচু প্রায় সবারই পছন্দ। ছোট থেকে বড় সবাই লিচু খেয়ে থাকেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর লিচু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকায় লিচু শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু লিচু আমাদের জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর, তা কি আমরা জানি।

সম্প্রতি লিচুর উপকারিতা ও সতর্কতা সম্পর্কে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানীর মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপিটাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারের সিনিয়র পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মী। এ পুষ্টিবিদের ভাষ্য অনুযায়ী এবার তাহলে লিচু সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

পুষ্টিগুণ: জলীয় অংশ সমৃদ্ধ লিচু খুবই উপকারী একটি ফল। প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট অল্প পরিমাণে রয়েছে। এতে কোনো ফ্যাট নেই। তবে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। খনিজের মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, কপার ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। এছাড়া ডায়েটারি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে লিচুতে।

উপকারিতা: তরলজাতীয় হওয়ায় গ্রীষ্মের সময় লিচু খাওয়ার ফলে শরীরে পানিশূন্যতার ঘাটতি দূর হয়। এ জন্য গরমের সময় বেশি বেশি পানি পানের পাশাপাশি লিচু খাওয়া যেতে পারে। এতে এপিকেচিন ও রুটিন নামক দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে। এসব উপাদান গরমে বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এসকরবিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে লিচুতে। এ কারণে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শ্বেতকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীরের বাহ্যিক ক্ষতিকারক জীবাণু প্রবেশে বাধা প্রদান করে।

মৌসুমী এই ফলে লিচিট্যানিন নামক ভাইরাস উপাদান রয়েছে। যা বিভিন্ন ভাইরাস বিস্তার রোধে কাজ করে। আবার ডায়াটেরি ফাইবার সমৃদ্ধ বিধায় হজমশক্তিও বৃদ্ধি করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা লিচু খেলে উপকার পাবেন। আবার আয়রন ও কপার সমৃদ্ধ হওয়ায় লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন বৃদ্ধি ও রক্ত সঞ্চালন উন্নয়নেও উপকার করে। ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

এছাড়া লিচুতে বিদ্যমান ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস আয়রন, কপার ইত্যাদি মিনারেল উপাদান শরীরের হাড়কে ক্যালসিয়াম শুষে নিতে সহায়তা করে। এতে হাড় অনেক শক্ত ও মজবুত থাকে। অনেকেই অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। তারা খাদ্যতালিকায় লিচুর রাখতে পারেন। ফাইবার ও পানি থাকা লিচু খাওয়ার ফলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে। আর ফ্যাট না থাকায় নতুন করে ওজনও বাড়ে না। আবার ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ দূর এবং ত্বক উজ্জ্বল করতেও সহায়তা করে লিচুর বিভিন্ন উপাদান।

সতর্কতা, লিচুতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। যাদের লিচু খেলে শারীরিক সমস্যা হয় বা শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পায়, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া লিচু খাওয়া উচিত হবে না। যাদের রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তারা ৪০ গ্রাম পরিমাণ লিচু রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। একজন সুস্থ ব্যক্তি দিনে ১০-১২টি লিচু খেতে পারেন। তবে সবগুলো একসঙ্গে না খেয়ে কিচুক্ষণ পরপর খাওয়া ভালো।



আরো পড়ুন