২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



কর্পোরেট কর্নার
প্রিন্ট

এক কোটি শিশুকে অনলাইন সুরক্ষায় সহায়তা দেবে গ্রামীণফোন-টেলিনর-ইউনিসেফ

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৮ অক্টোবর, ২০২৩, ০৭:১০ পিএম
এক কোটি শিশুকে অনলাইন সুরক্ষায় সহায়তা দেবে গ্রামীণফোন-টেলিনর-ইউনিসেফ


বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনলাইন সুরক্ষা জোরদার করতে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ  ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার’ শীর্ষক একটি উদ্যোগ চালু করেছে। যেখানে ১ কোটি শিশুকে এই উদ্যোগে যুক্ত করা হবে।

এই অংশীদারিত্বের আওতায়, উদ্যোগের প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে তোলা ও ডিজিটাল পরিসরের ক্রমবর্ধমান সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো বিবেচনা সাপেক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ, নৈতিক এবং দায়িত্বশীল ব্যবহারে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু যেনো নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠে ও সহিংসতা, অপব্যবহার, অবহেলা ও শোষণ থেকে সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ইউনিসেফ। ইন্টারনেট শিশুদের শিক্ষা ও  বিকাশের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ প্রদান করে। একইসঙ্গে, অনলাইনে যেকোনো ক্ষতিকর কনটেন্ট ও  হুমকি থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে তাদের ডিজিটাল সাক্ষরতা ও অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’

৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৪২ লাখ শিক্ষার্থীসহ দেশের ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকৃত হবে। এদের মধ্যে বিশেষ-চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ ঝুঁকিতে থাকা ১০ লাখ শিশুকে প্রকল্পটির ডিজিটাল শিক্ষার যাত্রায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত আরও ৬০ লাখ শিক্ষার্থী বয়সভেদে অনলাইন নিরাপত্তা ও ডিজিটাল সাক্ষরতার ওপর একাধিক সেশনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

এছাড়াও অনলাইন সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনাসহ প্রাসঙ্গিক নানা তথ্য সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ প্রকল্পে যুক্ত করা হবে ২৫ হাজার শিক্ষক ও ২০ লাখ অভিভাবককে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘অনলাইন নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতাকে আমাoদের শিক্ষার সাথে সম্পৃক্তিকরণ নিশ্চিত করা আমাদের শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য একটি অঙ্গীকার। কিভাবে নিরাপদে ও দায়িত্বশীলভাবে ডিজিটাল জগতে বিচরণ করতে হয়, তা শেখানোর মাধ্যমে আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তোলার পাশাপাশি প্রযুক্তির পূর্ণ সম্ভাবনা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখি। এক্ষেত্রে, একইসঙ্গে আমরা তাদের সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিতেও কাজ করি।’

তিনি আরও বলেন,‘এমন একটি বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার জন্য ইউনিসেফের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে। আর এই মহৎ কাজে অবদান রাখতে এগিয়ে আসার এখনই সময়।’

টেলিনর এশিয়ার হেড অব সাসটেইনিবিলিটি ইয়োহ্যান মার্টিন সিল্যান্ড বলেন, ‘কানেক্টিভিটির সুযোগ ও সম্ভাবনা উন্মোচনে ডিজিটাল দক্ষতা ও অনলাইন সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগটিকে পরিসর, ব্যাপ্তি ও প্রভাবের দিক থেকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে টেলিনর এশিয়া, গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফর একসাথে কাজ করা এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে। প্রযুক্তি বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ও বর্তমানের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যতের ডিজিটাল বিশ্বে নিজেদের সুরক্ষায় সবারই ডিজিটাল দক্ষতা তৈরি ও বিকাশের সুযোগ প্রয়োজন।’

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন